সালটা ১৯৫৮। জেনারেল আইয়ুব খান ক্ষমতা দখলের দুই মাসের মাথায় শিক্ষানীতি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে শিক্ষা সচিব এস এম শরিফকে প্রধান করে শিক্ষা কমিশন গঠন করে। কমিশনের রিপোর্টে বলা হয় “সস্তায় শিক্ষা লাভ করা যায় বলিয়া তাহাদের যে ভুল ধারনা করিয়াছে তাহা শীঘ্রই ত্যাগ করিতে হইবে। যেমন দাম তেমন জিনিস- এই অর্থনৈতিক সত্যকে অন্যান্য ব্যাপারে যেমন, শিক্ষার ব্যাপারেও তেমনি এড়ানো দুস্কর। শিক্ষা সস্তায় পাওয়া সম্ভব নয়।”
এই রিপোর্টের ফলে রাজপথে ফুঁসে উঠে ছাত্র সমাজ। ১৭ সেপ্টেম্বর দেশ ব্যাপি হরতালে ডাকা হয়। সেই হরতালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মোস্তফা, ওয়াজিউল্লাহ, বাবুল। এরপর ছাত্র জনতার আন্দোনের মুখে স্থগিত হয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন। ৬২’র এই শিক্ষা আন্দোলন পরবর্তী সময়ে ৬৬’র ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনায় গভীর অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। এরপর থেকে প্রতিবছর ১৭ সেপ্টেম্বর নিহতদের স্মরণ করে পালন করা হয় শিক্ষা দিবস।
নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু জয়নিউজকে বলেন, শিক্ষা দিবস আমাদের শিক্ষার অধিকার আদায়ের অন্যতম একটি দিন। এই আন্দোলনের পর আমরা স্বাধীন শিক্ষানীতি পেয়েছি। পাকিস্তান আমলে শিক্ষায় আমাদের উপর যে বৈষম্য ছিল তা নিরসনের জন্য যে আন্দোলন হয়েছিল আমরা তা শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি।
এই দিবসে কোন কর্মসূচি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো কোন কর্মসূচি ঠিক হয়নি। অফিসে বসে মিটিং করে আমরা ঠিক করবো কি করা যায়।
নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী সিরাজউল্লাহ জয়নিউজকে বলেন, দিনটি আমাদের কাছে স্মরণীয়। বর্তমান ছাত্র সমাজ এই দিনটি পালন করে। আমরা প্রেসক্লাবে গরীব মেধাবি ছাত্রদের শিক্ষা উপকরণ দেয়ার কর্মসূচি পালন করব।
ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আতিক রিয়াদ জয়নিউজকে বলেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা সংসদ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মরণ করবে এবং জেলা কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নগরের সহ-সভাপতি রায়হান উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, বর্তমান মহাজোট সরকারের যে শিক্ষানীতি তার সঙ্গে শরীফ কমিশনের শিক্ষানীতির খুব বেশি অমিল নেই। এইবার শিক্ষা দিবসে আমরা ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করেছি।