আদালতের আদেশ না মানায় চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে তলব করেছে উচ্চ আদালত। কেন আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করেনি ২৬ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখা দিতে আদেশ দেওয়া হয়েছে তাকে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরশেদ।
পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আদালতের আদেশ অনুযায়ী কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা কেন উচ্ছেদ করা হয়নি আদালতে হাজির হয়ে তার ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। একইসঙ্গে ২৬ জানুয়ারির আগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, কর্ণফুলী নদীর উভয় তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আদেশ দেন আদালত।
আদালতের উক্ত আদেশের পরে কর্ণফুলীর তীরে কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও পরবর্তীতে তা স্থগিত হয়ে যায়। তবে বন্দর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বন্দর কর্তৃপক্ষ বাস্তবসম্মত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়াতে আবারো আদালতে আবেদন করলে উক্ত স্থাপনা উচ্ছেদে আবারো নির্দেশ দিতে সামান্য কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে আবারো আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনমাস সময় দেওয়া হয়েছিল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে। কিন্তু এসময়ের মধ্যেও কোনো ব্যবস্থা না করে আবারো সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করলে উচ্চ আদালত বন্দর চেয়ারম্যানকে আদালতে তলব করে ব্যাখা প্রদানের আদেশ দেন।
২০১০ সালে জনস্বার্থে উচ্চ আদালতে রিট করেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিচ ফর বাংলাদেশ। রিটের শুনানী শেষে কর্ণফুলী তীরের ২ হাজার ১৮৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। আইনজীবী মনজিল মোরশেদ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিচ ফর বাংলাদেশ পক্ষে রিটের শুনানী করেন।
অপরদিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন কেএস সালাহউদ্দিন আহামদ।