আবারও আশীর্বাদ হয়ে আসছে হাতীজোড়া খাল। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে রাউজানের নোয়াজিশপুরে ভরাট হয়ে যাওয়া এ খালের খননকাজ। এতে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে স্থানীয়দের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। আবার সেচের অভাবে ব্যাহত হবে না বোরো ধানের চাষাবাদ।
উত্তর ফতেহনগর এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম জয়নিউজকে বলেন, খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় আমাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এটি খনন হয়ে গেলে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ দূর হবে। একইসঙ্গে চাষাবাদেও গতি আসবে।
১৫নং নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের উত্তর ফতেহ নগর ও ফটিকছড়ি উপজেলার তকির হাটের দক্ষিণ পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে হাতীজোড়া খাল। এটি নোয়াজিশপুর উত্তর ফতেহ নগর, ফটিকছড়ি উপজেলার জাফত নগর তেলপারই এলাকা হয়ে তেলপারাই খালের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
কয়েক বছর ধরে এ খালটি ভরাট হয়ে পড়ে ছিল। খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষায় বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা হতো। এ কারণে জলবদ্ধতা হয়ে ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যেত। স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘর-বাড়িতে ঢুকে যেত পানি। আবার শুষ্ক মৌসুমে খালে পানি না থাকায় সেচের অভাবে ব্যাহত হতো বোরো ধানের চাষাবাদ।
স্থানীয়দের এ দুর্ভোগ দূর করতে এগিয়ে আসেন স্থানীয় সাংসদ ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। তাঁর একান্ত প্রচেষ্টায় হাতীজোড়া খাল খনন করার প্রকল্প হাতে নেয় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন।
দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এ খাল খননে ব্যয় হবে ২৫ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে খননকাজ শুরু করে দিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস এম এন্টারপ্রাইজ।
খননকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বলে জয়নিউজকে জানান এস এম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রাউজান পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
জয়নিউজ