দুদকের টানা অভিযান ভয় ধরিয়ে দিয়েছে দুর্নীতিবাজদের মনে। সরকারের শুদ্ধি অভিযানে দুদকের প্রতি প্রত্যাশাও বেড়ে গেছে সাধারণ মানুষের। তবে দুদকের দুরন্ত এ গতি যেন স্থবির হয়ে যাচ্ছে আদালতে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে বিচারক সংকটে থমকে আছে দুদকের কার্যক্রম। দীর্ঘদিন বিচারক সংকটে থাকায় দুদক চট্টগ্রামের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই বললেই চলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ এক বছর চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল আদালতে বিচারক নেই। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমিন গত বছরের ৬ জানুয়ারি বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। বর্তমানে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন।
দুদক প্রসিকিউশনের তথ্যমতে, বর্তমানে চট্টগ্রাম আদালতে দুদকের মামলা আছে ২৫০টি। এর মধ্যে ৯৫টি মামলার বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে উচ্চ আদালতের নির্দেশে।
গতি নেই অপর ১৫৫টি মামলারও। তারিখ পড়লেও যথাসময়ে হয় না মামলার শুনানি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের তথ্যমতে, এই আদালতে ১৯টি মামলার শুনানি হয়েছে। তবে গত এক বছরে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র ৫টি মামলা। ২০১৯ সালে নিষ্পত্তি হওয়া মামলার নম্বরগুলো হলো- ২১/২০১৭, ২০/২০১৮, ১১/২০১৯, ১/২০১৯ এবং ৫৭/২০১৯।
জানা যায়, মামলাগুলোর মধ্যে আলোচিত একটি মামলা দায়েরের কয়েকদিনের মধ্যেই নিষ্পত্তি হয়ে যায়। পদ্মা অয়েলের ভবন নির্মাণে ৩২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৬১ টাকা ১৩ পয়সা দুর্নীতির অভিযোগে দুদক মামলাটি দায়ের করে। খবর পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোহাম্মদ ইউনুছ এন্ড কোং ৩২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা পরিশোধ করলে আদালত মামলাটি নিষ্পত্তি ঘোষণা করে।
জানতে চাইলে দুদকের অন্যতম প্যানেল আইনজীবী সানোয়ারুল হক লাভলু জয়নিউজকে বলেন, একটি মামলা নিষ্পত্তির কথা মনে আছে। হয়তো আরো কয়েকটা থাকতে পারে, তবে এই মুহূর্তে আমার মনে পড়ছে না।
এসময় আক্ষেপ করে তিনি বলেন, আদালতে বিচারক সংকটে আমাদের কার্যক্রমের দৃশ্যমান কিছুই আমরা জনগণকে দেখাতে পারছি না। তবে আশা করি শিগগির নতুন বিচারক পাব।
জয়নিউজ/এসআই