আদর্শে সমস্যা থাকলে তা আলাদা থাকতে পারে। কিন্তু বিদ্বেষ ভুলে ভালো কাজকে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের ‘তেত্রিশ বছর কাটলো’ শীর্ষক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর তিনদিনের অনুষ্ঠান উদ্বোধনীতে তিনি একথা বলেন। সন্ধ্যায় ফানুশ উড়িয়ে বোধনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্বোধনও করেন তিনি।
এসময় বোধনের সদস্য ছাড়াও শুভানুধ্যায়ী ও সংস্কৃতিপ্রেমীদের উপস্থিতি শিল্পকলায় শোভিত নানান শব্দের অর্থবহ প্রদর্শনে স্বতঃস্ফূর্ত এক আবহে যেন উৎসবের রঙ ছড়িয়ে পড়ে। মুখরিত এ রূপ পুরো এ আয়োজনকে করেছে প্রাণবন্ত অবয়বে।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন লেখক বাদল সৈয়দ, প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন ও রণজিৎ রক্ষিতের সহধর্মিণী দীপ্তি রক্ষিত।
অতিথিরা বলেন, সময়ের বিবর্তনে বোধন এখন একান্নবর্তী পরিবারের ন্যায় সংস্কৃতি পরিমন্ডলে বেশ সমাদৃত। শিল্প-সংস্কৃতির জগতে বোধনের নাম ইতিহাস হয়ে থাকবে।
কথামালার শুরুতে আবৃত্তিশিল্পী অনুপম শীলের সঞ্চালনায় বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি সোহেল আনোয়ারের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বোধনের সাধারণ সম্পাদক এসএম আবদুল আজিজ।
কথামালা পর্ব শেষে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত কবি অরুণ শীল, কামরুল হাসান বাদল, সেলিনা শেলী, ঋত্বিক নয়ন ও সারাফ নাওয়ার কবিতাপাঠে অংশ নেন।
এরপর আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পী হাসান জাহাঙ্গীর, মসরুর হোসেন, দেবাশীষ রুদ্র, সেলিম উদ্দিন, অনিক মহাজন, সাদ হাসান ও নাহিদ নেওয়াজের আবৃত্তি শেষে বোধনের শিশির বড়ুয়া ও ঋতু সাহা একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন।
পরে ৩৩ মিনিট আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা।
উল্লেখ্য, বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম জলপাই রঙের শাসকগোষ্ঠীর চোখ রাঙানো উপেক্ষা করে ১৯৮৭ সালের ৯ জানুয়ারি একদল শব্দসৈনিকের দায়বদ্ধতায় এ জনপদের মননে শুদ্ধতার প্রসারের দৃঢ়তায় এ সংগঠনের গোড়াপত্তন।
মূলত একজন মানুষের বোধশক্তির উত্তরণের মাধ্যমে ন্যায়-অন্যায় সংগ্রামে আপোষহীন ভাবনায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ধারার প্রত্যয়ে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের পথচলা শুরু।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন বুধবার (৮ জানুয়ারি) রয়েছে শোভাযাত্রা ও আবৃত্তি শিল্পী হাসান আরিফের একক আবৃত্তিসহ নানা আয়োজন।