প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো গুজবে কান দেবেন না। সত্য তথ্য না জানা বা যাচাই-বাছাই না করা পর্যন্ত শেয়ার দেবেন না। এতে দেশের ক্ষতি, সমাজের ক্ষতি ও ব্যক্তির ক্ষতি হয়।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তৃতীয় বাংলাদেশ ডিজিটাল দিবস ২০২০ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা বলেছিলাম, এটা আজ বাস্তব। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ স্থাপনের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত রচনা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু দেশকে উন্নয়ন অগ্রগতির দিকে নিয়ে যেতে যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে সে কর্মসূচি। পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ।
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯০ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতায় তখন একটি মোবাইল ফোনের দাম ছিল এক লাখ টাকা। মোবাইল ফোনের কল করলেও ১০ টাকা, ধরলেই ১০ টাকা মিনিট বিল আসতো। বিএনপির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোর্শেদ খানের একক কোম্পানি একচেটিয়া ব্যবসা করার ফলে মোবাইলের দাম কমেনি। তখনবার সরকারের অজ্ঞতার কারণে ব্রডব্যান্ড নিতে পারেনি। বিশাল সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে যায়। এভাবে তারা দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর কয়েকটি কোম্পানিকে মোবাইল ফোন বিক্রির অনুমতি দেয়া হলো। প্রতিযোগিতার কারণে মোবাইল ফোনের দাম ও কল চার্জ কমতে থাকে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার জন্য আমরা ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলি। এখন এক লাখ নয়, দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে মোবাইল পাওয়া যায়। কৃষক এখন মোবাইলের মাধ্যমে ফোন করে ছবি পাঠিয়ে ফসলের, গরু-ছাগল, হাস-মুরগি সবকিছুর চিকিৎসা নিচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল সেবা দিতে পারছি। ৯৯৯ ও ৩৩৩ এ ফোন করে সেবা নিচ্ছে। যে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম তা এখন সত্যিকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এম জিয়াউল আলম স্বাগত বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বাটন টিপে ‘আমার সরকার’অ্যাপের উদ্বোধন করেন। ডিজিটাল প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় অনুষ্ঠানে ১৫ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
জয়নিউজ/পিডি