জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল পটিয়া উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। এমন খবর পেয়ে ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পটিয়ার শান্তিরহাট এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। ওই সময় বিস্ফোরিত ককটেলের টিনের কোটাসহ বাঁশ, লাঠি উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পটিয়া থানার উপপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি এনামুল হক এনামকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি ছিল ২০০ থেকে ৩০০ জন।
এক বছর তদন্ত শেষে এই বছরের ২৬ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দেয় পটিয়া থানা পুলিশ। কিন্তু মামলার প্রধান আসামি এনামুল হক এনাম, কুসুমপুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম নেছার, ইদ্রিস চৌধুরী, খলিলুর রহমান বাবু, বদরুল খায়ের চৌধুরীকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বিএনপি নেতারা বলছেন, সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে যখন একের পর এক মামলা হচ্ছে, সেই সময় পটিয়া আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর অব্যাহতি পাওয়াটা আশ্চার্যের বিষয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারে না, আর এনামরা সবকিছু দিব্যি করতে পারে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, মামলার প্রধান আসামিকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া খুবই হাস্যকর। এনাম ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের মধ্যে সখ্যতা রয়েছে। এ কারণে হয়তো পুলিশ তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েছে।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বোরহান উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে আমি স্পষ্ট কিছু জানি না। আপনি তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
মামলাটি পটিয়া থানার দুইজন উপপরিদর্শক তদন্ত করেন। এর মধ্যে প্রথমে তদন্ত করেন এসআই সুজন কুমার দে এবং পরে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন এসআই মো. আরিফুল করিম।
এ বিষয়ে সুজন কুমার দে জয়নিউজকে বলেন, চার্জশিট আমি জমা দিইনি। বদলি হওয়ার কারণে পরবর্তীতে অন্য আরেকজন এসআই সেটি তদন্ত করেছেন।
তবে পটিয়া থানাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এসআই আরিফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
জয়নিউজ/বিপি/পিডি