আরেকটি সংস্থার কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গেলে অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ তথ্য জানান।
হাছান মাহমুদ বলেন, অনলাইন পত্রিকার নিবন্ধন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। একটি সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। আরেকটি সংস্থার কাছ থেকে প্রতিবেদন পেলে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করব।
‘নিবন্ধন দেওয়া হলে ভুঁইফোড় অনলাইন স্বাভাবিকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সত্যিকার অর্থে অনলাইন হিসেবে সংবাদ পরিবেশনের জন্য নয়, ভিন্ন উদ্দেশ্যে যেগুলো খোলা হয়েছে সেগুলোর ডোমেইন বন্ধ করে দেওয়া হবে।
যারা সাংবাদিক হওয়ার যোগ্য নয়, কিংবা আসলে তারা সাংবাদিক নয় কিন্তু একটা অনলাইন খুলে বসে একটা কার্ড বানিয়ে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে- তাদের মতো গুটিকয়েক জনের জন্য বৃহত্তর সাংবাদিক পরিবারের বদনাম হয়। এটি যাতে না হয়, সেটির একটি উপায় সম্মিলিতভাবে সবাইকে খুঁজে বের করা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, আজকাল প্রচুর গণমাধ্যম হওয়ার কারণে বিশেষ করে অনলাইন, সেগুলোর কারণে দেখা যাচ্ছে অনেকেই যারা সত্যিকার অর্থে সাংবাদিক হওয়ার মতো যোগ্যতা রাখেন না, তারাও অনেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। বিশেষ করে অনেকগুলো অনলাইনের ক্ষেত্রে এগুলো হচ্ছে। সেখানে ব্যাপক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।
বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ১১ বছর আগে পত্রিকার সংখ্যা ছিল সাড়ে সাতশ’। এখন তেরশ’র বেশি। টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা ছিল ১০টি। এখন ৩৪টি সম্প্রচারে আছে এবং ৪৫টির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশে ১১ বছর আগে হাতে গোনা কয়েকটি অনলাইন ছিল। এখন কয়েক হাজার অনলাইন পত্রিকা রয়েছে। গণমাধ্যমের সঙ্গে সাংবাদিকের সংখ্যাও বেড়েছে।
এসময় ডিআরইউ নেতারা যখন তখন সাংবাদিকদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারসহ চাকরির অনিশ্চয়তা তুলে ধরেন এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সাক্ষাতকালে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব কামরুন নাহার, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার এবং ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীসহ ডিআরইউর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।