বান্দরবানে চাঁদাবাজির মামলায় জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) আটজন শীর্ষ নেতাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে সুয়ালক ইউনিয়নের এক বাসিন্দা ও শহরের উজানীপাড়ার এক বাসিন্দা পৃথক দুটি চাঁদাবাজির মামলা করেন। এসব মামলায় বান্দরবানের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন জনসংহতি সমিতির নেতাকর্মীরা।
আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে জামিন না মঞ্জুর করে চার্জশিটভুক্ত আট আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ সন্ধ্যায় আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
এদিকে, প্রথমজনের মামলার আসামিরা হলেন-জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএসমং মারমা, কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা মিল্টন ও দলের কর্মী চাইহ্লা মারমা।
অপরদিকে, দ্বিতীয়জনের মামলার আসামিরা হলেন-জেএসএস কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক জলিমং মারমা, জেলা সাধারণ সম্পাদক ক্যবামং মারমা, জেলা সদস্য শম্ভুনাথ তঞ্চঙ্গ্যা, সদর উপজেলা ভূমি বিষয়ক সম্পাদক মংপু মারমা এবং রোয়াংছড়ি উপজেলা নোয়াপতং ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা সদস্য অংথোয়াইচিং মারমা।
জনসংহতি সমিতির জেলা সভাপতি উছোমং মারমা অভিযোগ করে বলেন, চাঁদাবাজিসহ আরও কয়েকটি মামলায় এই আটজন আসামি আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ দুটি মামলায় আসামিরা হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্ত ছিলেন।
আসামিদের আইনজীবী উবাথোয়াই মারমা বলেন, চাঁদাবাজির দুই মামলায় পুলিশের চার্জশিট দেওয়া পর্যন্ত আসামিদের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিল। আদালতে পুলিশ রোববার চার্জশিট দাখিল করায় আসামিদের স্থায়ী জামিন আবেদন করলে আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী।