চট্টগ্রাম-৮ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর গত ১২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে মনোনয়ন ফরম জমা দিতে আসেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ। এসময় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সেদিন মনোনয়ন জমাদান শেষে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনে জয়ের জন্য নগরের ভোটারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু আমি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সেহেতু মোছলেম ভাইকে জেতানোর দায়িত্ব আমার।
মোছলেম উদ্দিনকে জেতানোর যেই দায়িত্ব নিয়েছিলেন, সেই দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন চট্টগ্রামের হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালাখ্যাত আ জ ম নাছির উদ্দীন। প্রকাশ্যে দলীয় প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে না পারলেও নিয়মিত নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
আরো পড়ুন: মোছলেমকে জেতানোর দায়িত্ব নিলেন মেয়র
মেয়র নাছির সরকারি প্রটোকল বাদ দিয়ে নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাসহ সকল প্রচার-প্রচারণায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখেন। চট্টগ্রাম-৮ আসনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে অনেক নেতার মধ্যে নানা প্রশ্ন বা জিতবে কি-না, এ সন্দেহ থাকলেও মেয়র নাছির সবসময় জয়ের ব্যাপারে তাদের অভয় দিয়েছিলেন।
চট্টগ্রামের ভাষায় একটি প্রবাদ আছে, ‘ওস্তাদের মাইর শেষ রাইতে’। এই প্রবাদকে সত্যি করে মোছলেম উদ্দিনকে জয়ী করে ঘরে ফিরলেন তৃণমূল থেকে উঠে আসা আবু জাহেদ মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন।
দৃষ্টি আকষর্ণ করা হলে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন জয়নিউজকে বলেন, এখানে জাদু বলতে কিছু নেই। যা আছে সেটি হচ্ছে দলের প্রতি কমিটমেন্ট। আমি আওয়ামী লীগের একজন সেবক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১২ বছরে যে উন্নয়ন করেছেন, তা গত ১০০ বছরেও হয়নি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছ থেকে বিশ্বনেতারা শিখছেন। আর বিএনপিকে ভোট দিয়ে কোনো লাভ নেই, সেটি জনগণ বুঝেছে। তাই নৌকার জয়।
আরো পড়ুন: চট্টগ্রামের হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
এর আগে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও নগরের ছয়টিসহ জেলার দশটি আসনেও নৌকার প্রার্থীদের জয়ে কাজ করেছিলেন সিটি মেয়র। শুধু চট্টগ্রাম জেলা নয়, ফেনী ও কক্সবাজারেও গিয়েছিলেন নৌকার প্রচারণায়। নাছিরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল সকলে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম- ৮ আসনের উপনির্বাচনে ১৭০ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৮৭ হাজার ২৪৬ ভোট। ধানের শীষ প্রতীকে মো. আবু সুফিয়ান ১৭ হাজার ৯৩৫ ভোট, আপেল মার্কায় মো. এমদাদুল হক ৫৬৭ ভোট, চেয়ার প্রতীকে সৈয়দ মো. ফরিদ উদ্দিন ৯৯২, কুড়েঘর প্রতীকে বাপন দাশগুপ্ত ৬৫৬ ভোট ও টেলিভিশন প্রতীকে এসএম আবুল কালাম আজাদ ১ হাজার ১৮৫ ভোট।