প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান মার্কেল রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে স্বাধীন জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তাতে সমর্থন জানিয়েছেন বিট্রেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে ব্রিটিশ এই রানি বলেন, প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কেল কানাডা এবং ব্রিটেনে তাদের সময় ভাগ এবং স্বাধীন জীবনযাপনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার অনুমতি দিচ্ছেন তিনি।
গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যের ভূমিকা পালন সীমিত করার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে তারা যুক্তরাজ্য এবং উত্তর আমেরিকায় তাদের সময় ভাগাভাগি এবং আর্থিকভাবেও স্বাধীন হতে চান, যাতে রাজকোষের অর্থের ওপর তাদের নির্ভর করতে না হয়। তাদের এই ঘোষণার পর থেকে ব্রিটিশ রাজপরিবারে নজিরবিহীন সঙ্কট তৈরি হয়।
গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় আলোচনা ও পরামর্শের পর সোমবার রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্কটকালীন বৈঠকে তলব করেন রানি।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বলেছেন, বৈঠকে হ্যারি, তার ভাই প্রিন্স উইলিয়াম ও তাদের বাবা প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে অত্যন্ত গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। সোমবার ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলের নরফোকে সান্দ্রিংহাম ইস্টেটে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর ৯৩ বছর বয়সী রানি এক বিবৃতিতে বলেন, তরুণ পরিবার হিসেবে নতুন জীবনের যে আকাঙ্খা করছেন হ্যারি এবং মেগান আমার পরিবার এবং আমি তাতে পুরোপুরি সমর্থন জানাচ্ছি। তিনি বলেন, যদিও আমরা চাই তারা দু’জনই রাজপরিবারের পূর্ণ দায়িত্ব পালন করুক। তবে পরিবার হিসেবে স্বাধীন জীবনযাপনে আমরা তাদের ইচ্ছা বুঝতে পারছি এবং এটার প্রতি সম্মান জানাই। তারপরও তারা আমার পরিবারের মূল্যবান অংশ হিসেবে থাকবে।
২০১৮ সালের মে মাসে প্রিন্স হ্যারি মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেত্রী মেগান মার্কেলকে বিয়ে করার পর তার বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে বলে ব্রিটিশ বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা সময়ে খবর প্রকাশিত হয়। তবে প্রিন্স হ্যারি গণমাধ্যমের এমন খবরকে ভিত্তিহীন দাবি করেছেন।
জয়নিউজ/পিডি