টানা ১০ ঘণ্টা অচল থাকার পর চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনারের সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মালিক ও কর্মচারী প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার পর কাস্টমে নথি জমা দিতে শুরু করেছে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা।
সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন জয়নিউজকে বলেন, আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে সিঅ্যান্ডএফ মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মহোদয়ের আলোচনার পর তিনি দুঃখপ্রকাশ করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। তাই আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি।
তিনি আরো বলেন, আগামীকাল বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বাকি সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান করা যায়, তা নিয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আবারো বসব। আশা করি, কাস্টম কর্তৃপক্ষ আমাদের সমস্যা বুঝতে পেরেছেন।
চিটাগাং কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়াডিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক একেএম আলতাফ হোসেন বাচ্ছু জয়নিউজকে বলেন, আজ বিকেলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা আলোচনা চলে কাস্টম কমিশনারের সঙ্গে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে উনার দেওয়া চিঠি আলোচনা করে কার্যকারিতা স্থগিত করা হবে, তা আমাদেরকে নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও অন্যান্য সমস্যাগুলো আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করবে বলে আমাদেরকে আশ্বস্থ করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার মো. ফখরুল আলম আইনি বাধ্যবাধকতা, মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানি বন্ধ, সিঅ্যান্ডএফ নেতাদের দিয়ে পণ্য আমদানি বন্ধ ও সিঅ্যান্ডএফ নেতাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দিয়েছিলেন। এটা জানাজানি হওয়াতে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মালিক ও কর্মচারীরা মঙ্গলবার সকাল থেকেই ধর্মঘট পালন করেন কাস্টমে।