খাগড়াছড়িতে শিমের উচ্চ ফলন আর দাম ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। তবে খাদ্যরসিক বাঙালির শিমের চাইতে এর বিচির(খাইস্যা) সঙ্গে বিভিন্ন তরকারির পদ বরাবরই পছন্দ। বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকায় তাই এখানে শিমের খোসা ছাড়িয়ে বিচিগুলো আলাদা করে বিক্রি করছেন কৃষকরা।
এরইমধ্যে পার্বত্য এ জেলার সদর ও স্থানীয় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে আয়রন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ সবুজ শিমের বিচি। শিমের উচ্চ ফলন হওয়ায় আগের তুলনায় এবছর শিমের বিচির দাম তুলনামূলক কম। তবে চাহিদা থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে না কৃষকদের।
শিমের বিভিন্ন জাতের মধ্যে বাইনতারা, হাতিকান, বারি শিম১, বারি শিম২, বিইউ শিম৩, ইপসা শিম১, ইপসা শিম২ ইত্যাদি আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাতের শিমের বিচি বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
পাহাড়ি বাজারগুলোতে প্রতিকেজি শিমের বিচির দাম মানভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মংথুই মারমা নামে এক ক্রেতা বলেন, শিমের বিচি খেতে অনেক সুস্বাদু তাই আমি যখনই পাই কিনে থাকি। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবার কম দামে পাচ্ছি। বেশি পরিমাণে কিনে শুকিয়ে সংরক্ষণ করে রাখব যাতে অনেকদিন ধরে খেতে পারি।
এদিকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা পাহাড়ি বাজার থেকে শিমের বিচি কম দামে কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন।
ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন জানায়, পাহাড়ি শিমের বিচি অনেক সুস্বাদু হওয়ায় এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই আমরা এই এলাকার মানুষের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত বিচি কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করে থাকি। এতে করে চাষি এবং ব্যবসায়ী উভয়ে লাভবান হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি হাটের দিনে ৩ থেকে ৪ হাজার কেজি শিমের বিচি দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করার জন্য নেওয়া হয়।
জয়নিউজ/জাফর/পিডি