দেশের প্রথম আবৃত্তি স্কুল বোধন আবৃত্তি স্কুলের ৫৩তম আবর্তনের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(১৮ জানুয়ারি)মিউনিসিপ্যাল স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত অতিথি হিশেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক রীতা দত্ত, জেলা শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাট্যজন মাঈনুদ্দীন কোহেল, বোধনের প্রতিষ্ঠাতা এডভোকেট সুভাষ বরন চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন বোধন আবৃত্তি পরিষদের সহসভাপতি এডভোকেট নারায়ণ প্রসাদ বিশ্বাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বোধনের সহ সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী মাইনুল আজম চৌধুরী। বোধনের জন্মলগ্নের সংগ্রাম আর সৃষ্টিকথা নবীনদের মাঝে তুলে ধরেন বোধনের প্রতিষ্ঠাতা এডভোকেট সুভাষ বরন চক্রবর্তী।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক রীতা দত্ত বলেন বোধনের শ্লোগান “আঁধার ভেঙে আলোর বুনন “যে বাক্যের প্রতি তারা এখনো প্রতিশ্রুতিশীল এবং এখনও সেই লক্ষ্যে আজো তারা কাজ করে যাচ্ছে। চৌত্রিশে বোধন তারই প্রমাণ।
নাট্যজন মাঈনুদ্দীন কোহেল বলেন, শিশুকাল থেকে ভাষার শুদ্ধতা নিয়ে কাজ করলে যে কোনো ব্যক্তির মধ্যেই সর্বক্ষেত্রে সুন্দর ভাবে কথা বা বক্তব্য উপস্থাপন করা এবং জ্ঞানের পরিধি অনায়াসে বৃদ্ধি করা সম্ভব। বোধন চট্টগ্রামে এই কাজটি করে যাচ্ছে যা এই অঞ্চলের মানুষের শুদ্ধ ভাষার ব্যবহারে অবদান রাখছে এবং তারা কাজটি চলমান রাখবে আমার বিশ্বাস।
সভাপতির বক্তব্যে এডভোকেট নারায়ণ বিশ্বাস বলেন বোধন আবৃত্তি স্কুল বাংলাদেশের আবৃত্তি চর্চায় একটি যুগান্তকারী মাইলফলক হিশেবে কাজ করে যাচ্ছে যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বাংলাভাষার প্রমিত উচ্চারণকে করবে আরো সমৃদ্ধশালী।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বোধনের শিক্ষার্থী জাবেদ আহমেদ, বিজেত্রী বসাক শায়ন্তী, রিমা চৌধুরী ও মিলি বিন্তে আমিন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বোধনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সুজিত রায়, সাধারণ সম্পাদক প্রণব চৌধুরী, অনুষ্ঠান সম্পাদক জাভেদ হোসেন, অর্থ সম্পাদক অসীম দাশসহ সকল সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বোধনের শিশু বিভাগের শিল্পীরা আবৃত্তি ‘বঙ্গবন্ধু অত:পর বাংলাদেশ’ পরিবেশন করে। এর গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দেন ইতু সাহা ও যশস্বী বনিক। এরপর নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।
জয়নিউজ/পিডি