চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, দেশের বাইরের নয়, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিজের দেশের অপারেটরদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন।
রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়োজিত ‘লজিস্টিকেল চ্যালেঞ্জেস এন্ড অপরচ্যুনিটিস অব বিজনেস’ শীর্ষক সেমিনারে ড. ফরেস্ট কূকসন এর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) চেম্বার সভাপতি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় আয়োজিত এক সেমিনারে ড. কূকসন বলেছিলেন, আগামী দিনের চাহিদা মোকাবেলা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক কোন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানকে চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্ব দেয়া উচিত।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের বন্দরগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি প্রায় ২০ শতাংশের কাছাকাছি। পণ্য ও কন্টেইনার গ্রোথ থাকা সত্ত্বেও এ দেশের টার্মিনাল অপারেটররা এক দশক ধরে যোগ্যতা এবং সক্ষমতার সঙ্গে কাজ করে আসছেন। ২০১২ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের পরিমাণ ছিল ১.৪ মিলিয়ন টিইইউএস এবং ২০১৭-১৮ সালে ২.৮ মিলিয়ন টিইইউএস। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে রপ্তানিমুখী দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্দরসহ শিল্পায়নের প্রতিটি স্তরে যখন বাংলাদেশ সক্ষমতা ও সার্মথ্যের বার্তা দিচ্ছে, এমন সময় এ ধরনের মন্তব্য খুবই দুঃখজনক এবং দেশীয় সক্ষমতা অর্জনকে নিরুৎসাহিত করার প্রয়াস।
চেম্বার সভাপতি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কাজে বিদেশি অপারেটরকে দায়িত্ব দেয়া নয়, বরং দেশীয় অপারেটরদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন। আমাদের দেশে বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনা করার মতো দক্ষ জনশক্তি তৈরী হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের অনেক বন্দরে আমাদের লোকজন সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। কাজেই সরকার যে সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্প্রসারণ ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, তা দেশের অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
জয়নিউজ/এমএফ/এসআই/জেডএইচ