ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৫৪তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এছাড়া ফুটপাতে কাঁচাবাজার, হকার বসানোর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থানের কথা উল্লেখ করে সেই ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন মেয়র।
মেয়র বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরোধী সুশৃঙ্খল মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সমাবেশে নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী গঠিত কমিটি সদস্য ও নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এ সমাবেশে যোগদান করবেন। নগরের সর্বসাধারণ মাদক,সন্ত্রাস,জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ তা এই সমাবেশের মাধ্যমে প্রমান করতে চায় চসিক।
তিনি আরও বলেন, নগরীর বিভিন্ন রাস্তা, ফুটপাত ও ড্রেনের উপরে ইট, বালি, কংকর লৌহজাত দ্রব্য, নির্মাণ সামগ্রী, অস্থায়ী দোকান ও দোকান পাটের মালামাল এবং কাঁচাবাজার বসিয়ে সর্বসাধারণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, কোনক্রমে বরদাস্ত করা হবে না।
এইসব কর্মকাণ্ড পরিবেশ দুষণ এবং নগরীর সৌন্দর্যহানির সামিল। যা নাগরিক স্বার্থের পরিপন্থি ও বে-আইনী। এহেন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এই অভিযান চলাকালে রাস্তা,ফুটপাত ও চসিকের জায়গার উপর কোনোধরনের স্থাপনা পাওয়া গেলে মালামাল জব্দ ও জেল-জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিটি মেয়র বলেন, উন্নয়ন কাজে জড়িত ঠিকাদারদের করুণা দেখার কোনো সুযোগ নেই। তাদের কাছ থেকে কার্যাদেশ মতে শতভাগ কাজ আদায় করতে হবে। কাজের গুণগত মানের ক্ষেত্রে কোনোধরণের আপোষ করা যাবে না। মুজিববর্ষ ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে মশকমুক্ত, পরিচ্ছন্ন, সবুজনগরী বিনির্মাণ সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনার আলোকে চসিকের উদ্যোগে নগরীর ফুটপাত, গোলচত্বর ও সড়কসমূহের সবুজায়ন, সৌন্দর্যবর্ধনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিয়মিতভাবে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে এ নগরের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ অব্যাহত রাখতে হবে।
চসিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত এই সভায় চসিক প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চসিক প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মজেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতারসহ চসিক বিভাগীয় ও শাখা প্রধানরা এবং নগরের সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সঞ্চালনায় ছিলেন চসিক সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী।