নতুন সহস্রাব্দে পর্দাপনের পর ক্ষুধা –দারিদ্রমুক্ত এক নিরাপদ বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে এবারের জনশুমারি ও গৃহগণনা অতীতের যে কোন শুমারি অপেক্ষা অধিকতর গুরুত্ব বহন করবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের হল রুমে অনুষ্ঠিত বিবিএস এর জনশুমারি ও গৃহ গণনা এর মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম, এ, মান্নান এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশিরা বলছেন পরিসংখ্যানে আমরা এখন প্রায় বিশ্বমানের কাছাকাছি চলে এসেছি। আমরা যাতে আগামীতে আরো এগোতে পারি তার জন্য আপনারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
জনশুমারি ও গৃহগণনায় সব দলের লোকেরা অংশ নিতে পারবে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, অনেকে প্রশ্ন করেন নিজ দলের লোকেরা জনশুমারিতে থাকেন। কিন্তু এবারে সব দলের লোকেরাই এ কাজে অংশ নিতে পারবে। আমরা নির্ভুলভাবে এ কাজ করতে চাই। ফলাফল যাই আসুক, আমরা সঠিক তথ্যটাই জনগণের কাছে তুলে ধরতে চাই। কারণ জনগণের জানার অধিকার আছে।
রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের অতিথি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাদেরকে সহযোগিতা দিতে। তবে সবাইকে তা আইনের মাধ্যমে করতে হবে।
বিশেষ অতিথি সুরেন্দ্রনাথ চক্রবত্তী বলেন, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আমাদের সর্তক থাকতে হবে। এবারে যারা জরিপ গণনায় অংশ নেবেন তাদেরকে অবশ্যই উচ্চ মাধ্যমিক পাস হতে হবে এবং মোবাইল অ্যাপস চালনায় পারদশী হতে হবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুর্যোর মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রচলিত সাক্ষাৎকার পদ্ধতির পাশাপাশি আসছে জনশুমারি ২০২১ এ ই-সেন্সাস এর মাধ্যমে (মাল্টি মোডে এ তথ্য সংগ্রহ করা হবে। বর্তমানে মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে তালিকা প্রলয়ন কার্যক্রম সম্পাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী এবং বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশীগনের তথ্য ও এবারের শুমারিতে সংগ্রহ করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার শংকর রন্জন সাহা বলেন, আমরা সঠিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে সবাত্নক সহযোগিতা করবো।
উল্লেখ্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবিষিকী অথ্যাৎ ১৭ মার্চ ২০২০ হতে শুমারির ক্ষণ গণনা শুরু হবে এবং ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি ০০.০০ (জিরো আওয়ার)কে রেফারেন্স পয়েন্ট ধার্য করা হয়েছে।
জয়নিউজ/গিয়াস/পিডি