জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করতে তিন হাজার ৮২১ কোটি সাত লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প অনুমোদনের চেষ্টা করছে পরিকল্পনা কমিশন। আজ মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ প্রকল্প অনুমোদিত হচ্ছে কি-না জানা যাবে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী তার সিদ্ধান্ত জানাবেন।
এই প্রকল্প নিয়ে অনেকদিন ধরেই চলছে বিতর্ক। বিরোধী দলগুলো বরাবরই ইভিএম পদ্ধতির সমালোচনা করে আসছে।
নির্বাচনী আইনের সংস্কার, রাজনৈতিক দলের মতামতসহ সবকিছু ঠিক থাকলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য ইভিএম প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। ইভিএম ব্যবহারের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের সিদ্ধান্তের কথা গত ৩০ আগস্ট জানায় নির্বাচন কমিশন।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য অনেকটা তাড়াহুড়া করা হচ্ছে। দেড় লাখ ইভিএম কেনার প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার তারিখ ছিল গত ১৯ আগস্ট, যা স্থগিত হয়ে যায়।
জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রকল্প অনুমোদনের আগেই প্রকল্পের যন্ত্রপাতি আনতে ব্যাংকে এলসিও (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন আরও জানায়, মাত্র দেড় লাখ ইভিএম সিস্টেম এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি কেনার জন্য প্রকল্পটির প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৮২১ কোটি সাত লাখ টাকা। এতে প্রতি ইউনিট ইভিএমের দাম পড়বে প্রায় দুই লাখ টাকা।
এটি বাস্তবায়নের মেয়াদ চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে শেষ হবে। এর আগেই ডিসেম্বরে নতুন সরকার গঠনের জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে।
জয়নিউজ/এডি