বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের আয়োজনে ‘চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবস’ স্মরণে আলোচনা ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) কোর্ট বিল্ডিং শহীদ স্তম্ভ প্রাঙ্গণে শহীদ স্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, প্রদীপ প্রজ্জ্বালন দিয়ে আয়োজনের শুরু হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দুঃসহ স্মৃতিকথা, সাহসিক আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন বোধনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সম্মিলিত আবৃত্তিজোটের সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী অঞ্চল চৌধুরী।
তিনি বলেন সেদিন চট্টগ্রামের গণহত্যায় চট্টগ্রামবাসী ক্ষোভে-দুঃখে ফেটে পড়ে। রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মীরাও বিক্ষোভে নেমে আসে রাজপথে। পরদিন প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে। সে সময় চট্টগ্রামে সক্রিয় আবৃত্তি সংগঠন বলতে ছিল ‘বোধন’। আর সেই প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোধনের পক্ষ থেকে প্রশান্ত চক্রবর্ত্তী, পারভেজ চৌধুরী এবং আমি প্রতিবাদী আবৃত্তি পরিবেশন করি এই কোর্টবিল্ডিং প্রাঙ্গণে।
চট্টগ্রাম থিয়েটারের সভাপতি নাট্যজন অ্যাডভোকেট দীপক চৌধুরী বলেন, সেদিন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মৃতদেহ বলুয়ারদীঘি শ্মশানে পোড়ানো হয়। বক্তব্য শেষে তিনি “চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবস” নাটকের অংশবিশেষ পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বোধনের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট নারায়ণ প্রসাদ বিশ্বাস।
এতে একক আবৃত্তি করেন, আবৃত্তি শিল্পী সেহেলী হাসনাত, তূর্ণা দাশ, জাভেদ হোসেন, তারমিন পুষ্পা, প্রজ্ঞা পারমিতা, মৃত্তিকা চক্রবর্তী, অসীম দাশ, চিন্ময় মিত্র, সৌম্য সরকার, ওয়াসিজা নাইরা চৌধুরী, মাসতুরা মেহেরীন স্নেহা, প্রণব চৌধুরী ও সন্দীপন সেন একা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী মাইনুল আজম চৌধুরী।