ওয়াসার শেখ রাসেল পানি শোধনাগার প্রকল্প ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রোববার (২৬ জানুয়ারি) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে নয় কোটি লিটার পানি পরিশোধন ক্ষমতা রয়েছে বলে জানা গেছে।
মদুনাঘাটে নির্মিত শেখ রাসেল পানি শোধনাগারের বিশ্বব্যাংক, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসার যৌথ অর্থায়নে প্রায় ১৮শ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে মদুনাঘাটে এটি চালু হয়।
ওয়াসা সূত্র জানা যায়, শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার থেকে ১৪ কোটি, মোহরা পানি শোধনাগার থেকে ৯ কোটি, শেখ রাসেল পানি শোধনাগার থেকে ৯ কোটি এবং নলকূপ থেকে ৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
রাসেল পানি শোধনাগার প্রকল্পের পানি নগরীর কালামিয়াবাজার, বহদ্দারহাট, চকবাজার, বাকলিয়া, কোতোয়ালি, চাক্তাই, সিরাজুদ্দৌলাহ রোড়ের উভয় পাশে, জেলরোড়, মাঝিরঘাট হয়ে বারেক বিল্ডিং পর্যন্ত সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ জয়নিউজকে বলেন. আমরা খুবই সুন্দর করে সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই প্রকল্পটি বানিয়েছি। দৈনিক ৯ কোটি লিটার পানি এখন সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। এতে করে নগরীর ৯৫ শতাংশ মানুষ পানি পাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ শেষ হবে কর্নফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (ফেস-২)। এই প্রকল্প থেকে ও দৈনিক ৯ কোটি লিটার পানি পেলে নগরীতে আর কোনো পানির সমস্যা থাকবে না এবং শতভাগ মানুষ পানি পাবে বলে জানান তিনি।
প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম জয়নিউজকে বলেন, বাংলাদেশের অন্যান্য পানি শোধনাগার থেকে এই প্রকল্পের ভিন্নতা আছে।
প্রথমমত এখানে বসানো হয়েছে টিউব স্যালটলাইট প্রযুক্তি। ফলে খুব কম সময়ে পানির ঘোলা অংশটি নীচে পড়ে যায়।
এছাড়া স্থাপন করা হয়েছে স্বাজ ট্রিটমেন্ট ইউনিট। এই প্রযুক্তির কারণে পানির নীচের তলানিগুলো কেক আকারে বেরিয়ে আসে। ফলে নদীকে দুষন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়।