পটিয়া থানা থেকে মোছাম্মৎ লাইজু (৩৬) নামে এক ইয়াবা পাচারকারী পালিয়ে গেছে। সে বরগুনা জেলার ছোট গৌরিচন্না গ্রামের মো. জাকির হোসেনের স্ত্রী।
লাইজু টয়লেটের ভেনটিলেটর ভেঙে পালিয়েছে বলে দাবি করেন থানার এএসআই সামশুদ্দিন। তিনি বলেন, শনিবার (১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পটিয়া থানার সঙ্গে থাকা একটি টয়লেটের ভেনটিলেটর দিয়ে পালিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় এএসআই শামসুদ্দিন উদ্দিন ভুঁইয়া, কনস্টেবল মো. রিয়াজ ও মহিলা কনস্টেবল মমতাজ বেগমসহ তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করেছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোবারক হোসেন এক্সরে করে তার পেটের ভেতরে ইয়াবা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে গোপনাঙ্গে ও ওষুধ খাইয়ে পেটের ভেতরে থাকা ১ হাজার ৯শ’ পিচ ইয়াবা রাতভর বের করা হয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় মহিলাটির পরনের নীল কালারের জিন্স শার্ট ও সেন্ডেল থানায় রেখে যায়।
জানা গেছে, শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ইয়াবার একটি চালান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়ক হয়ে চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাচ্ছে। গোপন সংবাদে খবর পেয়ে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোবারক হোসেন অভিযান চালিয়ে মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট এলাকা থেকে লাইজু নামে ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করেন। মহিলাটির কাছে ‘আমাদের নতুন সময়’ পত্রিকার স্টাফ রির্পোটারের একটি কার্ড পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তারের পর মহিলার গোপনাঙ্গের ভেতর থেকে ৪শ’ পিচ ইয়াবা ও পেটের ভেতর থেকে ১ হাজার ৫শ’ পিচ ইয়াবা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বের করা হয়। পরে হ্যান্ডকাপ ছাড়া মহিলাকে রাখা হয় পটিয়া থানা পুলিশের মুন্সির রুমে। এখান থেকে বিভিন্ন ওষুধের মাধ্যমে পেটের ভেতর থেকে ইয়াবাগুলো বের করা হয়। পুলিশ হেফাজত থেকে ইয়াবা পাচারকারী পালানোর ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আফরোজুল হক টুটুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের তিন সদস্যকে ক্লোজড করেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আফরোজুল হক টুটুল বলেন, ইয়াবা উদ্ধার ও পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর ঘটনায় একজন এএসআই, এক নারী ও পুরুষ কনষ্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে। থানায় পৃথক দুইটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামিকে পুনরায় গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন বলেন, ইয়াবাসহ পুলিশ হেফাজতে থাকা লাইজু নামে ইয়াবা পাচারকারী নারী টয়লেটের ভেনটিলেটর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা দাবি করছে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা। এটি কোনো অবস্থাতে সম্ভব না। ভেনটিলেটর দিয়ে কোনো মানুষ পার হতে পারে না। আমি রাত ২টা পর্যন্ত অফিসে ছিলাম। অফিস ত্যাগের আগে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ডেকে এ আসামির ব্যাপারে সজাগ থাকতে বলেছিলাম। তারপরও তারা অবহেলা করেছে।