হাটহাজারী পৌরসভার পশ্চিম দেওয়াননগর এলাকায় একটি ইয়াবা ব্যবসায়ীর পাকা বাড়ির সন্ধান পেয়েছে প্রশাসন। সরকারি খাস জায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত ওই বাড়িটি বৃহস্পতিবারের (৬ ফেব্রুয়ারি) তারিখের মধ্যেই খালি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অন্যথায় উক্ত অবৈধ বাড়িটি দখল নিতে প্রয়োজনে স্থাপনা অপসারণ করতে অভিযান পরিচালনা করা হবে এ মর্মে বাড়ির মালিককে পৌর প্রশাসন একটি নোটিশও দিয়েছেন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই এলাকার মৌলভীপাড়ার পশ্চিমে মেখলঘোনায় সরকারি পাহাড়ি জমিতে (মিঠাছড়া মৌজা) ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যান। এসময় ইয়াবা বাড়ির সন্ধান মিলেছে বলে জয়নিউজকে বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পৌর প্রশাসক (ইউএনও) রুহুল আমীন।
তিনি বলেন, ওই এলাকায় মিঠাছড়া মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত জায়গায় নির্মাণ করা বাড়ির মালিক ইয়াবা ব্যবসায়ী। দীর্ঘ সময় ধরে সে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মেখলঘোনায় সরকারি পাহাড়ি জমিতে অবৈধভাবে পাকাবাড়ি নির্মাণ করে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছিল।
তিনি আরও বলেন, অভিযান চলাকালে ওই বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে তাদের একটি ছোট মেয়েকে পাওয়া যায়। ওই মেয়ের ভাষ্য মতে, তাদের বাড়ি কক্সবাজারের রামুতে।
তবে ওই বাড়ির মালিককে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এ বাড়ির বাসিন্দাদের হাটহাজারী ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া নোটিশও দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় পৌর প্রশাসন এ ঘরের দখল নিয়ে তথা সরকারি সম্পদ উদ্ধার করতে স্থাপনা অপসারণ করবে।
এদিকে, যদিও এলাকার স্থানীয়রা বলছে, ওই লোকের বাড়ি রামুতে নয়, তারা রোহিঙ্গা। তাদের ইয়াবা ব্যবসার কারণে এলাকার যুবক সমাজ প্রায় ধ্বংসের পথে। তাছাড়া বেশ কয়েকমাস আগে এ বাড়ির দুই সদস্যকে ইয়াবাসহ ধরে বিজ্ঞ আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তখন বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে হাঁড়ি পাতিলের মধ্যেও ইয়াবা পাওয়া গিয়েছিল বলে জানান হাটহাজারী মডেল থানার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) মো. নুরুজ্জামান।
অন্যদিকে, সোমবার একই সময়ে ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মিঠাছড়া মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত জায়গায় জনৈক ওসমান নামে এক ব্যক্তির অবৈধভাবে নির্মাণ করা বিভিন্ন স্থাপনা ও সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয়।
অভিযান পরিচালনাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন হাটাহাজারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ ও মডেল থানার পুলিশ ও পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জয়নিউজ/তালেব/বিআর