বিচারাধীন জমিতে স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সাউদার্নের বিরুদ্ধে। নগরের মেহেদিবাগে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান হলেও স্থায়ী ক্যাম্পাস বায়োজিদ বোস্তামির আরিফিন নগরে।
জানা যায়, বায়েজিদের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জায়গাটি হাউজিং কোম্পানি গ্রীণ চট্টলা লিমিটেডের। অভিযোগ আছে, একটি চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে নামমাত্র মূল্যে জমি দখলে নিয়েছে সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে তারা জায়গাটি নিজের বলে দাবি করছে।
এর আগে মামলা জটিলতার কারণে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সব ক্যাম্পাসে নতুন করে ছাত্র ভর্তি না করার নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের নোটিস থাকা সত্ত্বেও তা উপেক্ষা করে বিজ্ঞাপন ও পোস্টারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার চেষ্টা করেছিল সাউদার্ন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সনদ বাণিজ্যসহ বেশ কিছু অভিযোগ আছে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ঘিরে। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধও ঘোষণা করেছিল ইউজিসি। পরে উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে তারা ফের কার্যক্রম শুরু করে।
সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, প্রথমত জমিটা যদি অবৈধ হতো তাহলে আমরা এখানে ক্যাম্পাস করতে পারতাম না। আর আমি যদি জমিটা আমার বলি তাহলে কি জমিটা আমার হয়ে যায়? সেক্ষেত্রে তারাও তেমনটা বলেছে।
তবে বিচারধীন থাকলেও সেটা যতদিন তারা পাবে না ততদিন তারা নিজের বলে দাবি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন এ কর্মকর্তা।
এদিকে হাউজিং কোম্পানি গ্রীণ চট্টলা লিমিটেডের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আজম চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, হাইকোর্টের তিন দফা নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিচারাধীন জমিতে স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে তুলেছে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। আবাসন কোম্পানি গ্রীণ চট্টলা লিমিটেডের কেনা এক একর জমি জাল দলিলের মাধ্যমে দখল করে নেয় একটি কুচক্রি মহল।
তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বোপরি দেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু অন্যের জমি দখলের উদ্দেশ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা অন্যায় বলে আমি মনে করি।
জয়নিউজ/এসআই