বাঁশখালীর ছয় মামলার আসামি ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মো. জামাল উদ্দিন অবশেষে কারাগারে।
বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনুল হোসেনের আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে তাকে জামিন না মঞ্জুরের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বৈলছড়ি বাজারে জামাল বাহিনীর লোকজন সড়ক অবরোধ করে গাড়ি বন্ধ করে দেয়। এসময় পুলিশ গিয়ে ৫টার দিকে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করে দেয়। তার বিরুদ্ধে ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাড়ি দখল, ছিনতাই, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, নানামুখি সশস্ত্র সন্ত্রাসী ঘটনা ও নানা অপরাধে বাঁশখালী ও সাতকানিয়া থানায় অন্ততঃ ৬টি মামলা রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তিনি এলাকায় পাহাড় দখল ও নিরহ মানুষের বাড়িঘর দখলেরও অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বৈলছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গোলাগুলি ও দাঙ্গা হাঙ্গামার মাধ্যমে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায়ও মামলা দায়ের হয়। তাকে ওই মামলায় ১৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে। তিনি চেচুরিয়া গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে। এছাড়া তিনি উপজেলা তাঁতী লীগের সাবেক সভাপতি এবং বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে বেশ পরিচিত।
স্থানীয় ছৈয়দুল আলম বলেন, ইউপি সদস্য মো. জামাল উদ্দিন একজন সন্ত্রাসী। আমার পাকা দালান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিজের বাড়ি বলে প্রচার করছে। মামলা করলেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বহু মামলার আসামি হয়েও প্রকাশ্যে ঘুরছিল। আমার সপরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল।
বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দিন চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, ‘ইউপি সদস্য জামালের বিরুদ্ধে বহু মামলা আছে সত্য। তিনি মঙ্গলবার আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
বাঁশখালী থানা কর্তব্যরত কর্মকর্তা এএসআই মো. আনোয়ার জয়নিউজকে বলেন, ‘ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিনকে আদালতের অধীনে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। জামাল বাহিনীর লোকজন সড়ক অবরোধ করতে চাইলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। সড়কে আর প্রতিবন্ধকতা হয়নি।’