মো. হোসেন (৩১)। পেশায় একজন ক্ষুদ্র সবজি বিক্রেতা। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাও জমা দেন ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে গঠিত সমিতিতে। আর এসব জমানো টাকায় ড্র হয় প্রতি মাসে। ভাগ্যক্রমে তিনদিন আগে সমিতির ড্র’তে তার নাম উঠেছে। পেয়েছেন ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এরমধ্যে ৫০ হাজার টাকায় একটি গরু (গাভী) বিক্রি করেছে। তারমধ্যে প্রতিদিনের মত সবজি বিক্রির টাকাসহ নগদ প্রায় ৩ লাখ টাকা মজুদ করেছিল কিছু করার আশায়।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৩টায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
তবে ভাগ্যের একি নির্মম পরিহাস, বসতঘরে সংগঠিত অগ্নিকাণ্ডে আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়েছে তার সঞ্চয়কৃত নগদ টাকা, হাঁস-মুরগি, আসবাবপত্রসহ পুরো বসতঘর পুড়ে সে হয়েছে সর্বশান্ত। সবজি বিক্রেতা হোসেন হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নের মুহরীহাট এলাকার আব্বাছ আলী সওদাগর বাড়ির মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।
অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারিয়ে বিধবা মা, স্ত্রী, দুই কন্যা সন্তান ও দুই ভাইকে নিয়ে এ তীব্র শীতে খোলা আকাশের নিচে হোসেন ও তার পরিবার বসবাস করছে।
হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. জাকের হোসেন জয়নিউজকে বলেন, ৯৯৯ কলের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। প্রাথমিক ধারণা করছি, আগুনের সূত্রপাত বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে হয়েছে।
এর আগে স্থানীয় জনতা অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আগুন নেভাতে চেষ্টা করলেও আগুনের লেলিহান শিখা মুহুর্তের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নগদ ৩ লাখ টাকাসহ মোট ৮ লক্ষাধিক টাকার মত বলে অনুমাণ করা হচ্ছে। আগুনের লেলিহান শিখা থেকে নগদ টাকা রক্ষা করতে গিয়ে গৃহকর্তা সবজি বিক্রেতা হোসেন আহতও হয়েছে। এছাড়া আগুনে পুড়ে গেছে গোয়াল ঘরে রক্ষিত একটি গরুর বাছুরও।