প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিসহ সবধরণের সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘বিশেষ ব্যবস্থা’র সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবন্ধী সমাজ (ডিসকু)।
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
চাকরির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫ শতাংশ কোটা সুবিধা চায় সংগঠনটি। পাশাপাশি প্রতিবন্ধীদের জন্য চাকরিতে নিয়োগের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫ বছর করা, চাকরি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ন্যূনতম তিন বছর বেকার ভাতা প্রদান এবং প্রতিবন্ধীদের চাকরিতে নেয়া ও স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ‘প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন’ বাস্তবায়ন যুগোপযোগী করার দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবন্ধী ছাত্র সমাজের সভাপতি আলহাজ উদ্দীন বলেন, সম্প্রতি ১ম ও ২য় শ্রেণি অর্থাৎ ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে সরকারি চাকরির প্রাথমিক নিয়োগে সকল ধরনের কোটা বাতিলের সুপারিশ করেছে কোটা পর্যালোচনা কমিটি। এর আগে সংসদে দাঁড়িয়ে প্রতিবন্ধীদের জন্য ‘বিশেষ ব্যবস্থা’র কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কোটা পর্যালোচনা কমিটির বক্তব্যে এই ‘বিশেষ ব্যবস্থা’র কথা বলা হয়নি। তারা এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট কিছু বলেননি। যা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ও বেদনাদায়ক।
এছাড়াও ১৩ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম‘প্রতিবন্ধী কোটা রাখার প্রয়োজন অনুভব করি না’ মর্মে দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, সরকারের বিভিন্ন মহলের বিভিন্ন রকমের বক্তব্য ও আচরণে আমরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধীদের চাকরি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা রেখেছেন তা সুস্পষ্ট করতে হবে।
রোববারের (২৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিশেষ ব্যবস্থার রূপরেখা প্রণয়ন করে সুস্পষ্ট কোন বক্তব্য না দেয়া হলে আগামী ২৩ তারিখ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
<h4>জয়নিউজ/শহীদ/জুলফিকার<h5>