চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বলেন, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে মিডওয়াইফের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। মিডওয়াইফরা সরাসরি গর্ভবতী মায়েদের সেবা দিয়ে থাকে। এ সেবাকাজ অনেক কঠিন। এই কঠিন সেবা মোকাবেলায় মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থীদেরকে যোগ্য ও প্রস্তুত হয়ে উঠতে হবে। তাই এই কোর্সেও শুরু থেকে প্রত্যেক মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থীদের আন্তরিকতা ও একাগ্র চিত্তে প্রশিক্ষণের সকল বিষয় ধারণ করতে হবে।
মিডওয়াইফারী ইন্সটিটিউটের ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারী কোর্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রোববার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে চসিক আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন ভবনে প্রথমবর্ষ কোর্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেয়র। এসময় একই অনুষ্ঠানে জুনিয়র মিডওয়াইফারি ২১তম ব্যাচের নবীনবরণ ও ক্যাপ পরিয়ে দেন তিনি।
এতে সভাপতিত্ব করেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চসিক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রীতি বড়ুয়া, চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ রাধু মুহুরী ও উপাধ্যক্ষ বাসন্তী রানী রায়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিক মিডওয়াইফারী ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ লক্ষ্মী দত্ত রায়।
সিটি মেয়র আরো বলেন, দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের সংখ্যা আনুপাতিক হারে বেশি। এ জন্য বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে মিডওয়াইফারীদের প্রয়োজনীয়তা বেশি। ডাক্তারে পরে তাদের উপর একজন গর্ভবতী মা ও শিশুর সুস্থতা নির্ভর করে থাকে। এমনকি এখনো দেশের অধিকাংশ মা বাড়িতে অদক্ষ সেবাদানকারীর মাধ্যমে সন্তান প্রসব করান। ফলে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি থেকে যায়। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য মিডওয়াইফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সিটি মেয়র বলেন বিশ বছর পূর্বে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে শত শত মিডওয়াইফ দেশে-বিদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটির গুরুত্ব অনুধাবন করে বর্তমান সরকার মা ও শিশুর মৃত্যুর হার রোধকল্পে এ মিডওয়াইফারি ইন্সটিটিউটকে ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স-এ রূপান্তর করে। তজ্জন্য সিটি মেয়র বর্তমান সরকারে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ঠদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।