রাউজানে নিছক ঠাট্টা-মশকরা করায় মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আজম চেীধুরীকে হত্যা করা হয় বলে জানিযেছে র্যাব।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে পথেরহাট এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা শেখ সোহরাব হোসেন সাদিচকে (২৬) আটক করা হয়।
এ ঘটনায় সোমবার (১০ ফেব্রুযারি) বেলা ১২টায় র্যাবের চান্দগাঁও ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ।
এসময় তিনি বলেন, সোহরাব দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আজম চৌধুরীর ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। ক্ষোভ থেকে একসময় নৃশংস হয়ে নুরুল আজমকে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে সোহরাব।
তার এ ক্ষোভের কারণ সম্পর্কে সোহরাব র্যাবকে জানায়, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আজম প্রায়সময় নানা বিষয় নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করতো। তাকে ঠাট্টা করে বলতো , বাপের জন্মে ভালো খাবার দেখছস ? তুই কোনো কাজ কর্ম করস না , তোর কোনো উপার্জন নাই’ এসব বলতো। গত পাঁচ মাস ধরে নুরুল আজমকে হত্যার পরিকল্পনা করছিল বলে জানায় সোহরাব।
তারিক আজিজ আরও বলেন, নুরুল আজমকে হত্যার জন্য ১ হাজার টাকা দিয়ে কামারের দোকান থেকে একটি কিরিচ কিনে নেয় সোহরাব। সেই কিরিচ দিয়ে নৃশংসভাবে নুরুল আজমকে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পর কিরিচ পরিস্কার করে পুনরায় কামারের দোকানে ফেরত দেয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কামাররের দোকান থেকে সেই কিরিচ ও তার বসতঘর থেকে হত্যাকাণ্ডের দিন পরিহিত কাপড় উদ্ধার করা হয়। সোহরাবের দেওয়া তথ্যগুলো যাচাইপূর্বক তদন্ত করা হবে। এ হত্যাকাণ্ডে অন্য কেউ জড়িত আছে কি-না সেটাও তদন্ত করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাউজানে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আজম চৌধুরীকে। নুরুল আজম দীর্ঘদিন পুলিশের উপ-পরিদর্শক পদে চাকরি করেন। ৫৭ বছর বয়সে ২০০৫ সালে অবসরে যান তিনি। এরপর থেকে রাউজানে দোকান করতেন তিনি।