সাতকানিয়ার উত্তর কালিয়াইশ হাসপাতাল মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে শতাধিক ঘনফুট মূল্যবান প্রজাতির কাঠ জব্দ করেছে বন বিভাগ।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত একটানা অভিযান চালানো হয়। আটক কাঠের মধ্যে রয়েছে সেগুন, গর্জন ও লালি কাঠ।
জানা যায়, এলাকার একটি চোরাইকাঠ পাচারকারী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ করাতকল ও ডিভি দরজার ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এ সিন্ডিকেট উত্তর কালিয়াইশ এলাকার সরকারি হাসপাতালের জায়গা জবর দখল করে তাদের অবৈধ কাঠের মজুদ করে রাখতো।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চোরাই কাঠ ব্যবসায়ীদের বার বার নিষেধ করলেও তারা হাসপাতালের জায়গা থেকে চোরাইকাঠের মজুদ সরানো দূরের কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথা কর্ণপাতও করেনি। বিষয়টি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভা ও স্বাস্থ্য কমিটির সভায় কয়েক দফা আলোচনা হয়। এর প্রেক্ষিতে বন বিভাগ এ অভিযান পরিচালনা করে বলে জানা যায়।
আরও জানা যায়, রোববার সকাল থেকে এ অভিযান পরিচালনার কথা থাকলেও পদুয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বড়দুয়ারা বিট কাম চেক স্টেশন গরিমসি করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপের মুখে বড়দুয়ারা বিট কাম চেক স্টেশন ও লালুটিয়া রেঞ্জের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযান চলাকালে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শুধুমাত্র হাসপাতাল মাঠে মজুদ কাঠগুলো জব্দ করেন। মাঠের বাম পাশে বিশাল অবৈধ করাতকল ও ডান পাশে দরজা ফ্যাক্টরিতে রহস্যজনক কারণে কোনোধরনের অভিযান চালাননি।
অথচ করাতকলের ভেতরে ছিল কয়েক শত ঘনফুট মূল্যবান কাঠ। এছাড়াও দরজা ফ্যাক্টরির ভেতরে ছিল প্রস্তুত করা শত শত দরজা এবং চৌকাঠ।
এলাকাবাসীর অনেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগ করে বলেন, মাঠের কাঠগুলি জব্দ করার সময় বন কর্মকর্তাদের সামনে বেশ কিছু কাঠ মালিকরা সরিয়ে ফেলেছেন।
বড়দুয়ারা বিট কাম চেক স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা সিকদার আতিকুর রহমান এ অভিযোগ অস্বীকার করে জয়নিউজকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে রাতভর কষ্ট করে কাঠগুলো জব্দ করেছি। জব্দকৃত কাঠের মালিক পাওয়া যায়নি। তবে পিওআর মামলা দায়ের করবেন জানান তিনি।
পদুয়া রেঞ্জ রেঞ্জ কর্মকর্তা সরওয়ার জাহান জয়নিউজকে বলেন, সাতকানিয়ার কালিয়াইশ ইউনিয়ন পদুয়া রেঞ্জের প্রশাসনিক এলাকা কি-না আমার জানা নেই। নিজের প্রশাসনিক এলাকা না হলে অভিযান পরিচালনা কঠিন। তারপরও আমি বড়দুয়ারা বিট কাম চেক স্টেশন ও দোহাজারী লালুটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছি।