চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সবুজায়নের আওতায় পুরো নগরকে ফুলগাছ ও বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সাজানো হবে। নগরীকে গ্রীন ও ক্লিন সিটিতে পরিণত করতে যেসকল গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ময়লা আবর্জনার স্তুপ ও ভবঘুরদের উৎপাত ছিল সেগুলোকে পর্যায়ক্রমে নাগরিক উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
লালখান বাজার থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের সৌন্দর্যবর্ধন ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প এবং পে-পার্কিংয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লালখান বাজার জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদের সামনে এ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, বাণিজ্যিক রাজধানীর গুরুত্ব অনুধাবন করে চট্টগ্রাম নগরীতে সৌন্দর্যবর্ধনের বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের উপরে এবং নিচে চসিক অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী সৌন্দর্যবর্ধন ও রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে চসিক।
ইতোমধ্যে নগরীর বেশ কয়েকটি মোড়ে এই সৌন্দর্যবর্ধন কাজের সফল সমাপ্তি আমরা করেছি। ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে নগরীর সৌন্দর্য। এরই অংশ হিসেবে লালখান বাজার থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগের ফলে নগরীর ফুটপাত, আইল্যান্ডগুলো পরিবেশবান্ধব, নগরবাসী ও পথচারীদের চলাচল উপযোগী হয়ে উঠবে।
মেয়র আরও বলেন এ ধরনের স্থানগুলোতে নগরবাসী চাইলে যান্ত্রিক জীবনের বাইরে গিয়ে একটু বিশ্রাম ও বিনোদনের জন্য নির্মল পরিবেশে সময় অতিবাহিত করতে পারবেন। সিটি মেয়র সৌন্দর্যবর্ধন করা এই স্পটগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম, খুলশী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী, ট্রেড ম্যক্সের সত্ত্বাধিকারী হেলাল আহমদ, রাজনীতিক ছিদ্দিক আহমদ, দিদারুল আলম মাসুম, মো. আজাদ, ওয়াহিদুল আলম শিমুল ও আবদুল রশিদ লোকমানসহ স্থানীয়রা।