বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা। অপরদিকে রোহিঙ্গাদের সাগরেপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়া দুই দালালকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে কোস্টগার্ড।
পাঁচটি বোটে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন ১৩৮ জন রোহিঙ্গা। পরে তাদের সবাইকে আরেকটি বোটে তোলার পর সেটি ডুবে যায়। এতে সলিল সমাধি ঘটে ১৫ রোহিঙ্গার। যার মধ্যে ৩ শিশু ও ১২ নারী ছিলেন। লাশগুলো টেকনাফে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭১ জনকে। এর মধ্যে ৪৪ জন নারী, ২৪ জন পুরুষ এবং ৩ শিশু রয়েছে।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, ১৩৮ জনের মধ্যে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৫২ জন। তাদের উদ্ধারে যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা বলল…
উদ্ধার হওয়া কয়েকজন রোহিঙ্গা জানিয়েছেন, ছোট ছোট ৫টি বোটে করে সোমবার রাতে সমুদ্রপথে তারা মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। পরে দালালরা তাদের সবাইকে একটি বড় বোটে তুলে নেয়।
ভোররাত ৪টায় সেন্টমার্টিন থেকে পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে সমুদ্রে পাথরের সঙ্গে বোটটির ধাক্কা লাগে। এতে বোটের তলা ফেটে যায়। বোটে ঢুকতে থাকতে পানি, এক সময় সেটি ডুবে যায়। তখন অনেকেই সমুদ্রে ডুবে যান। কেউ কেউ সাঁতরে পার হন।
দুপুর নাগাদ ডুবন্ত বোটটিকে উদ্ধার করে সেন্টমার্টিনে নিয়ে আসে কোস্টগার্ড। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের প্রাথমিক চিকিৎসাও দেয় কোস্টগার্ড।
বোটে ছিলেন দুই দালালও
ডুবে যাওয়া ট্রলারের রোহিঙ্গারা নুর আলম ও সৈয়দ আলম নামের দুই জন দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন। তারাও ডুবে যাওয়া বোটে ছিলেন।
উদ্ধার অভিযানকালে ওই বড় বোট থেকে নুর আলম ও সৈয়দ আলমকে আটক করে কোস্টগার্ড।
তৎপর কোস্টগার্ড
ট্রলারডুবির খবর পেয়ে দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে কোস্টগার্ড। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা ৭১ রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করেছে।
কোস্টগার্ড জানায়, উদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জাহাজ মনসুর আলী, শ্যামল বাংলাসহ ছোট-বড় বেশ কয়েকটি বোট নিয়োজিত রয়েছে। আটক দুই দালালকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এরপর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জয়নিউজ