নগরপিতার সম্মানীর অর্থে দুস্থরা পাচ্ছে শিক্ষার আলো, রোগীরা সেবা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নির্বাচিত হয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন চসিক থেকে কোনো সম্মানী কিংবা কোনো সুয়োগ সুবিধা নিবেন না। কথা রেখেছিলেন তিনি। নিজের প্রাপ্ত সব সম্মানী-ভাতা তুলে দিয়েছিলেন অসহায়দের হাতে। দুস্থ শিক্ষার্থী কিংবা দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত যেই সাহায্যের জন্য গেছেন কাউকেই ফেরাননি। সব সম্মানীর টাকা দেওয়ার পরও ব্যক্তিগতভাবেও সাহায্য-সহায়তা করেছেন।

- Advertisement -

হিসাব মতে, সম্মানী ও আনুষাঙ্গিক বিভিন্ন ভাতাসহ মাসে প্রায় ২ লাখ টাকা চসিক থেকে পাওয়ার কথা মেয়র নাছিরের। যার একটি টাকাও তিনি নিজ হাতে স্পর্শ করেননি।  সব টাকা  তুলে দেন শিক্ষার্থী  ও শারিরীকভাবে অসুস্থদের মাঝে। সম্মানীর টাকা পাওয়া এসব শিক্ষার্থীদের কেউ সেই টাকা দিয়ে পড়েন মেডিকেলে, কেউবা অটিজম স্কুলে আবার কেউবা পড়েন ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে।

- Advertisement -google news follower

চসিক সূত্রে জানা যায় মেয়রের সম্মানীর টাকা চসিকের হিসাব বিভাগের একজন কর্মকর্তার অধীনে বিতরণ করা হয়। কিছু প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ও রোগী আছেন যারা প্রতি মাসে নির্ধারিত অঙ্কের টাকা পেয়ে থাকেন। এ তালিকায় আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষার্থী যার একজনের দুইটি হাত নেই। মেডিকেল পড়ুয়া আছে ৪ জন। কলেজের আছে ৩ জন। বাকিরা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে  চিকিৎিসার অর্থ নিতে আসেন নগর ভবনে। এভাবে প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা করে মেয়র নাছির গত সাড়ে চার বছরে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা তুলে দিয়েছেন মানবতার সেবায়।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা জয়নিউজকে বলেন, মেয়র নিজের সম্মানীর টাকা অসহায়-দুস্থদের বিলিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তিনি কর্পোরেশনের গাড়ি ব্যবহার করেন না। এমনকি গাড়ির তেল ও চালক নেন না। ব্যাক্তিগত গাড়িতে চলাফেরা করেন। এর বাইরে মেয়র  নিজের পকেটের টাকাও দিয়ে দেন। আত্মমানবতার সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন মেয়র। যা পাশে থেকে না দেখলে অনুধাবন করা দুঃস্কর।

- Advertisement -islamibank

এনিয়ে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন জয়নিউজকে বলেন, রাজনীতি যেমন একদিনের জন্য নয়, তেমনি রাজনীতি কোনো ভোগ-বিলাসের পণ্য নয়। আমি নগরের সেবক। নগরবাসীর কষ্ট লাগবে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি সবসময়। আমার সম্মানীর টাকা কিছু গরীব ,অসহায় শিক্ষার্থী পাচ্ছে। এত তাদের সমস্যা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

তিনি আরো বলেন, অসহায় এসব শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে পারাটা আমার জন্যে গৌরবের। আমি মনে করি একদিন এসব শিক্ষার্থী নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে অন্যদের পাশে দাঁড়াবে। দেশ ও জাতি এভাবেই এগিয়ে যাবে। আমাদের সকলের উচিত সেবার মানসিকতা নিয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো।

জয়নিউজ/কামরুল

 

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM