আসছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন। আর এ নির্বাচনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকেই নেতাকে অগ্রিম অভিনন্দন জানিয়ে দিচ্ছেন স্ট্যাটাস, আবার অনেকেই বিভিন্ন ছবিসহ পোস্ট দিয়ে করছেন ভাইরাল।
তেমনই এক ছবিসহ পোস্ট সাম্প্রতিক সময়ে ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। ওই পোস্টে দেখা যায়, চসিক মেয়র নাছিরের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর খুনির পরিবারের সদস্য মামুনুর রশিদ খান হেলাল ও মো. আকরাম খান।
আর এতেই ক্ষেপেছেন গোপীনাথপুর আলহাজ্ব শাহ আলম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ও কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির কার্যকরী সদস্য মো. আকরাম খান। এ বিষয়ে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মানববন্ধন করেন তিনি।
মানববন্ধনে মো. আকরাম খান বলেন, আ জ ম নাছির উদ্দীন সাহেব এবং আমার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি পরিবারের সদস্য মামুনুর রশিদ খান হেলালের কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই। মেয়র নাছিরের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল।
তিনি নিজেকে ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে বলেন, আমি ১৯৮৪ সালে কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৮ সালে কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছি।
‘১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। বর্তমানে কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটিতে কার্যকরী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আহ্বায়কের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আছি।
সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা গেছে যে, একটি অসাধু চক্র চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সাহেবের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি পরিবারের সদস্য মামুনুর রশিদ খান হেলালের ছবির সঙ্গে আমার ও মেয়র মহোদয়ের ছবি অসাধু উপায়ে সংযুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে। এটি আমাকে এবং চসিক মেয়র আ জ ম নাছির সাহেবকে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে ভাইরাল করেছে।
আমি বলতে চাই, ২০১০ সালের ২৯ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনির ফাঁসির রায় কার্যকরের পর আমার নেতৃত্বে কসবা উপজেলা চত্বরে আনন্দ মিছিল হয়। সেমসয় জাতীয় পত্রিকা প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আমার প্রতিক্রিয়ায় আমি বলেছিলাম, বঙ্গবন্ধুর খুনির ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার মধ্যদিয়ে কসবাবাসি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।
আমি আরো বলতে চাই, চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সাহেব আমার শ্রদ্ধাভাজন বড় ভাই ও রাজনৈতিক নেতা। উনি অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণ ও ধর্মপরায়ণ নেতা। উনি চট্টগ্রাম তথা দেশবাসীর গর্ব। আসন্ন চসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে উনার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রী মহল গভীর ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন।
আমি ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে রাজপথে সক্রিয় থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করেছি এবং আমৃত্যু করে যাব।’