সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আমি যেখানেই থাকি, যে আবস্থায় থাকিই না কেন, সবসময়েই নগরবাসীকে বুকে ধারণ করব। তাঁরা আমার জন্য যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, তার প্রতিদান আমি জীবন দিয়েই দেব।
তিনি বলেন, এবার আমি মেয়র হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পেলে নগরবাসী যে আমাকে এতো আস্থায় নিয়েছে, তা উপলব্ধি করতে পারতাম না। এখন আমি সেটা উপলদ্ধি করতে পারছি।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ফিরে নগর ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসার পর সাধারণ মানুষ আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করেছে। মনে হচ্ছে, তাদের প্রিয়জন বা পিতা-মাতাকে হারিয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে কেউ কেউ ভিন্ন ভিন্ন দলের সমর্থকও থাকতে পারে। এ ব্যাপারটা একদিক দিয়ে খুব ভালো লেগেছে, অন্যদিক দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করার তাগিদটা আমার আরো বেড়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী। আজকে আমার এ পজিশন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ।
রাজপথ থেকে উঠে এসেছেন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ছাত্রলীগের মাধ্যমে আমার রাজনীতি শুরু। চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় আমি রাজনীতি শুরু করি। আমার জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজনীতি করে যাব।
‘আমি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে চার বছর সাত মাস অতিবাহিত করেছি। এর মধ্যে জোরগলায় বলতে পারি, চসিকে বিগত চল্লিশ বছর যা কাজ হয়নি তা ২০১৫ সালের পর থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় আমি করেছি।’
চসিক থেকে কোনো সম্মানি ও সুবিধা গ্রহণ করেননি উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমার সস্মানি অসহায় মানুষের মাঝে দিয়ে দিতাম। আমার ব্যক্তিগত ব্যবসা থেকে নিজে চলতাম। আমি চসিক মেয়রের দায়িত্ব ইবাদত হিসেবে নিয়েছিলাম। সবসময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে জনকল্যাণে রাজনীতি করেছি।
‘নগরবাসীকে সেবা দেওয়ার জন্য ঈদের দিন পযর্ন্ত কাজ করেছি। পরিবারকে সময় না দিয়ে নগরবাসীর সেবা নিশ্চিত করতে নগরের অলিতে-গলিতে ঘুরেছি। সকাল থেকে রাত ১টা পর্যন্ত চসিকে কাজ করেছি। কখনো কোনো ফাইল ধরে রাখিনি।’
এসময় এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, আমি পদ-পদবির জন্য রাজনীতি করি না। নীতি-আদর্শকে ধারণ করে রাজীনীতি করি। আমার নেতা চট্টলবীর সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী অনেক অত্যাচার-নিপীড়ন সহ্য করে জনগণের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। তাঁর পদ অনুসরণ করে আমিও অত্যাচার-নিপীড়ন সহ্য করেছি। আমি যে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকব তা কখনো ভাবিনি। অনেকবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। বিএনপি-জামায়াত শিবির আমাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছে। এতকিছুর পরও জীবনে কখনো বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি।