নাম তার হেলাল উদ্দীন। পেশায় একজন দন্ত ও মুখ গহ্বর চিকিৎসক। রয়েছে তার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুসজ্জিত চেম্বার।
ওই চেম্বারে আছে দামি ডেন্টাল ইউনিট। তারমধ্যে দামি আসবাবপত্রসহ সবই আছে। তবে নেই শুধু তার অনুমোদিত ডিগ্রি। পড়াশোনার দৌড় সর্বোচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক হলেও তার নামের আগে ডাক্তার এবং নামের পরে নানা ‘ডিগ্রি’ লিখেন।
প্রকৃতপক্ষে নামের শেষে লেখা কোনোটিই ডিগ্রি নয়। কিন্তু এগুলো দেখে সাধারণ মানুষ তাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলে মনে করেও বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির (বিডিএস) সরবরাহ করা তালিকা অনুযায়ী সে একজন ‘হাতুড়ে দন্ত চিকিৎসক’।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ওই হাতুড়ে দন্ত চিকিৎসকের খবর পেয়ে উপজেলার ধলই ইউনিয়নের কাটিরহাট বাজারে তার প্রতিষ্ঠিত ‘জননী ডেন্টাল কেয়ার’থেকে তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আটক হেলাল উপজেলার ধলই ইউনিয়নের কাটিরহাট এলাকার পূর্বধলই গ্রামের মো. আবদুল হামিদের ছেলে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত সত্যতা যাচাই করার জন্য তার কাছে কাগজপত্র চাইলে তিনি দেখাতে পারেন নি। এসময় তিনি আদালতকে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের এক বছর কোর্সের একটা প্রবেশপত্র ধরিয়ে দেয়। এভাবে ভুয়া ডিগ্রি নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং চেম্বারটি বন্ধ করে মালামাল জব্দ করে।
ইউএনও রুহুল আমিন জয়নিউজকে বলেন, ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে ৩-৪ বছর ধরে ধলই ইউনিয়নের কাটিরহাট বাজারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল নামধারী দন্তচিকিৎসক হেলাল উদ্দীন।
সম্প্রতি তার ভুল চিকিৎসার কারণে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সপ্তাহ খানের চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হতে হয়েছে।