রাউজানে সর্তাখালের উপর নির্মিত চারটি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব সেতুর পিলারের গোড়া থেকে সরে গেছে মাটি। বিপজ্জনক এসব সেতুতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। বিপদ মাথায় নিয়েই প্রতিদিন সেতুগুলো দিয়ে যাতায়াত করছে হাজার হাজার মানুষ।
উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের আমির হাটের পাশে দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়কে সর্তা খালের উপর নির্মিত হয়েছে সেতু। বর্তমানে এর পিলারের গোড়ার মাটি সরে গিয়ে সেতুটি বিপজ্জনক অবস্থায় আছে।
এদিকে উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়ন ও নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের সীমনায় ঈশা খা দিঘির পূর্ব পাশেও বয়ে গেছে সর্তাখাল। খালের উপর নির্মিত হজরত শাহছুপি নুরুল হক শাহ সেতুর নিচের পিলারের গোড়ার মাটিও সরে গেছে। সেতুটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ।
চিকদাইর ইউনিয়নের দক্ষিণ সর্তা থেকে নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের নতুন হাট সীমানায় সতা খালের উপর নির্মিত হয়েছে হজরত আকবর শাহ সেতু। এ সেতুর গোড়ার মাটি সরে গিয়ে এটিও বিপজ্জনক অবস্থায় আছে।
অভিন্ন অবস্থা চিকদাইর ইউনিয়নের দক্ষিণ সর্তা ও গহিরা ইউনিয়নের আতুরনির দোকান সংগলগ্ন এলাকায় সর্তা খালের উপর নির্মিত সৃষ্টি মহাজন সেতু। মাটি সরে যাওয়ার এ সেতুটিও আছে ঝুঁকির মধ্যে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্তা খালের এ চারটি সেতুর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার জন্য দায়ী অবৈধ বালু উত্তোলন। সর্তাখালে পাম্প বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করায় সেতুগুলোর নিচের পিলারের গোড়ার মাটি সরে গেছে। এতে ঝুঁকির মুখে রয়েছে চারটি সেতু। অথচ এসব সেতু দিয়ে প্রতিদিন শত শত অটোরিকশা, জিপ ও ট্রাক চলাচল করে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাওয়া-আসা করে করে হাজার হাজার মানুষ।
সরেজমিনে ঘুরে চিকদাইর ও নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের মাটি কাটার চিত্র দেখা গেছে। নতুন হাট সীমানায় হযরত আকবর শাহ সেতুর পাশে সর্তাখালে এসকেভেটার দিয়ে খাল থেকে মাটি কেটে স্তূপ করা হচ্ছে । সর্তাখাল থেকে এসকেভেটার দিয়ে কাটা মাটি ট্রাকে করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। এই মাটিবাণিজ্যের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত বলে জানান এলাকার বাসিন্দারা।
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ জয়নিউজকে বলেন, অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সর্তাখাল থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন। সর্তাখালের কোনো স্থান থেকে বালু উত্তোলন কিংবা খাল থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা হলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।
জয়নিউজ