বাঙালি যাদের আত্মত্যাগে পেয়েছিল ভাষার অধিকার সেই মহান শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১টি মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিক, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামিরক কর্মকর্তারা। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা জানান।
এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরবর্তীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিন বাহিনীর প্রধান ও পুলিশের আইজি। পরে ধারাবাহিকভাবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বাহিনী, সংস্থা ও সংগঠনের প্রধানরা।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ মিনার সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
তবে রাত ১২টার আগেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরাসহ সর্বস্তরের মানুষ ভিড় করেন শহীদ মিনার অভিমুখী রাস্তায়।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ। তারই ধারাবাহিকতায় অর্জিত হয় স্বাধীনতা।
বাঙালি জাতির ভাষার সংগ্রামের একুশ এখন বিশ্বের সব ভাষাভাষীর অধিকার রক্ষার দিন। বাঙালির এই আত্মত্যাগের দিন এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে সারাবিশ্বে।