একুশের প্রথম প্রহরের অপেক্ষা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সমবেত হয় সেখানে। ঘড়ির কাটায় সময় যখন ১২টা বেজে ১ মিনিট তখন প্রশাসনের কর্তারা একে একে সবাই ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে শুরু করে।
তবে মিনিট দশেক পরে দেখা গেল এক ব্যতিক্রমী দৃশ্য। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা কিছু ব্যক্তি হঠাৎ জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে উঠে যায়। এসময় তাদের সেলফি তুলতেও দেখা যায়।
এসব ব্যাক্তির কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণে উপস্থিত সংস্কৃতিকর্মী ও সাধারণ জনগণরা হতবাক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি তাঁরা এক্ষেত্রে শহীদ মিনারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) একুশের প্রথম প্রহরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়াও শহীদের বেদিতে দিতে আসা ফুল তাদের জুতার নিচেও পদদলিত হয়েছে বলে জানান মো. রাসেল নামে চট্টগ্রাম বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমন কর্মকাণ্ড খুবই দুঃখজনক। অবস্থাদৃষ্ঠে যেন মনে হচ্ছে, দিন দিন যেন একুশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মৃত্যু হচ্ছে। যদিও শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষায় হাইকোর্টও সরকারকে নির্দেশনা রয়েছে।
শহীদ মিনারের পবিত্রতা নষ্ট হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের অসচেতনতাকে দায়ী সংবাদকর্মী আজিজুল ইসলাম জানান, শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের উদাসীনতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে শ্রদ্ধা জানানোর সব আয়োজন। দায়িত্বশীলরা এ ব্যর্থতার দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।