চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (চসিক) ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া তিন প্রার্থীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলের থানা পর্যায়ের নেতারা। তাদের বিরুদ্ধে ‘ভুয়া’ রাজনৈতিক পদবি ব্যবহার করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তারা হলেন- লালখানবাজার ১৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত বেলাল, বক্সিরহাট ৩৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর (৯, ১০ ও ১৩নং ওয়ার্ড) তছলিমা বেগম নুরজাহান।
এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত কাউন্সিলর পদে সমর্থিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে ক্ষমতাসীন দলটির স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড। সেখানে তাদেরকে কাউন্সিলর পদে মনোনীত করে।
লালখানবাজার ১৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত বেলালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কখনো নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য পদে ছিলেন না। যে পদ দিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন, আসলে সেই পদে তার কোনো পদ নেই।
জানতে চাইলে লালখানবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিক আহমেদ জয়নিউজকে বলেন, ১৪নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের প্রার্থী আবুল হাসনাত বেলাল দল না করেও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছেন। তিনি খুলশী থানা আওয়ামী লীগেরও কোনো পদে নেই। এমনকি আওয়ামী লীগে কোনো অংঙ্গসংগঠনের পদেও নেই। আমি জানি না, সে দল থেকে কিভাবে মনোনয়ন পেয়েছে। এ ব্যপারে ২৪ ফেব্রুয়ারি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মিটিং ডেকেছি, সেদিন তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।
তবে লালখানবাজার ১৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত বেলালের দাবি দলের কেন্দ্রীয় নেতারা তাকে মৌখিকভাবে সদস্য পদ দিয়েছেন। তিনি জয়নিউজকে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা আমাকে সেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য পদ মৌখিকভাবে দিয়েছেন। তবে কোনো সংগঠনের প্যাডে লিখিত দেননি।
বক্সিরহাট ৩৫নং কাউন্সিলর হাজী নুরুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কখনো আওয়ামী লীগের কোনো পদে ছিলেন না এবং মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাও নন।
জানতে চাইলে ৩৫নং বক্সিরহাট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ বাহাদুর জয়নিউজকে বলেন, হাজী নুরুল হক কখনো আওয়ামী লীগের কোনো পদে ছিলেন না এবং তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাও নন। মনোনয়ন ফরমে তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়েছেন- তা ভুয়া।
এ বিষয়ে জানতে কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী নুরুল হকের মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে সংরক্ষিত মহিলা (৯, ১০ ও ১৩নং) ওয়ার্ডে কাউন্সিলর আবিদা আজাদের পরিবর্তে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য তছলিমা বেগম নুরজাহান মনোনয়ন পেয়েছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নগর আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন না।
জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম জয়নিউজকে বলেন, নগর আওয়ামী লীগে মহিলা সদস্য আছে একজন। তিনি হচ্ছেন- জুবাইদা নার্গিস। আমার জানা মতে, তছলিমা বেগম নুরজাহান নামে কোনো মহিলা সদস্য নেই।
এ বিষয়ে জানতে কাউন্সিলর প্রার্থী তছলিমা বেগম নুরজাহানের মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।