বান্দরবান সদরে রাজবিলা ইউনিয়নে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের গুলিতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচনু মারমা (৫৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সাবেক ইউপি মেম্বার ও যুবলীগের নেতাসহ আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন। এছাড়া এঘটনার পর আতঙ্কে স্ট্রোক করে বাতখই মারমা (৬৩) নামের আরেকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহতের বাড়ি জামছড়ি ভিতর পাড়ায়।তিনি ওই এলাকার মংবই মারমার ছেলে। আহতরা হচ্ছেন, সাবেক মেম্বার উচ থোয়াই (৬৫), যুবলীগ নেতা মংক্যা চিং মারমা (২৫), যুবলীগ নেতা হ্লামং চিং (৩০), ক্যাপোমং (৪৫) ও আদাসী (২৬)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, অস্ত্রসহ ৮ থেকে ১০ জন সশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসী রাজবিলার জামছড়ির মুখপাড়ার একটি দোকানে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এসময় হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করেছি। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে বান্দরবান শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। পরে ট্রাফিক মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী, পৌর সভাপতি অমল কান্তি দাস, সাধারণ সম্পাদক সামশুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান খোকন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাওছার সোহাগ প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আওয়ামীলীগ নেতারা ঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমাকে দায়ী করেছেন।
জয়নিউজ/শাহরিয়ার/পিডি