চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোট আগামী ২৯ মার্চ। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় মেয়র ও কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
তবে ঘোষিত কাউন্সিলর তালিকায় অনেকের বিরুদ্ধে ‘ভুয়া’ রাজনৈতিক পদবি ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িতরা কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন পেয়েছেন বলে নেতাকর্মীদের অভিযোগ।
এদিকে কাউন্সিলর প্রার্থী ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ থেকে কারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়েও চলছে আলোচনা।
অন্যদিকে প্রার্থিতা চূড়ান্তে তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছেন মনোনয়নবঞ্চিতরা। ইতোমধ্যে কেউ কেউ প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার।
এ অবস্থায় অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে বলছে কেন্দ্র। এমন হলে পরিবর্তন আসতে পারে ঘোষিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীতে।
আরো পড়ুন: ‘ভুয়া’ পরিচয়ে আ’লীগের সমর্থন, প্রশ্ন স্বয়ং দলে
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকষর্ণ করা হলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জয়নিউজকে বলেন, কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হয়তো তা নয়। যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, কাউন্সিলরদের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করার জন্য মহানগর আওয়ামী লীগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন বোর্ডকে সুপারিশ করবে। নগর আওয়ামী লীগের সুপারিশের ভিত্তিতে হয়তো কাউন্সিলর প্রার্থীর তালিকায় পরিবর্তন আসতে পারে।
এদিকে বিতর্কিত কাউন্সিলরদের বাদ দিতে ইতোমধ্যে নগরের একাধিক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আবার অনেকেই ক্ষোভপ্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। বির্তকিত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে কেন্দ্রে চিঠিও পাঠাবে তারা।
যোগাযোগ করা হলে নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন জয়নিউজকে বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের কাগজপত্র আবার যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হবে।