বান্দরবানে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যাসহ কয়েকদফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে এগারটায় বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন পালিত হয়।
মানববন্ধনে দেওয়া দাবিগুলো হচ্ছে-পাহাড়ে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস বন্ধে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা। পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন বাতিল করে ভূমি জরিপ কাজ শুরু করা। রাজার সনদ বাতিল করে জেলা প্রশাসন সনদ চালু করা। উচ্চশিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে পার্বত্য কোটা চালু করা। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংখ্যার অনুপাতে সেনাবাহিনী, পুলিশের ক্যাম্প বৃদ্ধি করা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ পাহাড়ের নিপীড়ত মানুষ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
পরে একই দাবিতে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি কাজী মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, সহসভাপতি কাজি নাছিরুল আলম, অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন তারু মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দিন।
এদিকে, সদর উপজেলার জামছড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি বাচুনো মারমা হত্যার দুদিন পর পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে নিহতের পরিবারের সদস্যরা বাদী না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী।
অপরদিকে, হামলাকারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধরতে সেনাবাহিনী-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সম্ভাব্য স্থানগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত: আধিপাত্য বিস্তারের জের ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের শক্ত ভীতকে নড়বড়ে করতে ক্ষমতাসীন দলের তৃনমূলের নেতাদের টার্গেট করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। শনিবার রাতেও পরিকল্পনা মোতাবেক উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নে জামছড়িতে অস্ত্রধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের ১০/১২ সদস্য হামলা চালিয়ে দোকানের ভিতরে ঢুকে গুলি করে হত্যা করে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি বাচুনো মারমাকে (৫৪)। এ ঘটনার সময় আতঙ্কে বাখোয়াই মারমা (৬৩) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়। সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবলীগ নেতাসহ আরও পাঁচজন আহত হয়।