র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার কললিস্টে প্রভাবশালীদের নম্বর পেয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া পরিচালক সরোয়ার বিন কাশেম এমনটাই বলেছেন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের পর পাপিয়ার কাছ থেকে দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এসব মোবাইলে পাপিয়া কার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন, তাদের সংশ্লিষ্টতা কোন ধরনের তা নিশ্চিত হতে কললিস্ট সংগ্রহের কাজ চলছে। সেক্ষেত্রে পাপিয়ার অপরাধ জগতের সঙ্গে কারোর যদি সংশ্লিষ্টতা আসে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। কেননা, পাপিয়া যে ধরনের অপরাধ করেছেন তা তার একার পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এর পেছনে অবশ্যই অন্যরাও জড়িত আছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।
পাপিয়ার ঘটনার তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, পাপিয়া অস্ত্র, মাদক এবং সুন্দরী তরুণীদের দিয়ে অনৈতিক ব্যবসা করলেও তিনি বেশ কিছু প্রভাবশালীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতেন। ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে সুন্দরী তরুণীদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করাতেন। তবে প্রভাবশালী রাজনীতিক এবং সরকারি কর্মকর্তাদের টাকা ছাড়াও নারী দিয়েই ম্যানেজ করতেন।
কয়েকজন রাজনীতিবিদ ও যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাসহ ১৫ থেকে ২০ জন সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা তার এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কথা জানতেন।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, পাপিয়া অনৈতিক কাজের অনেকাংশে তারাই ছিলেন নিয়মিত খদ্দের। পাঁচ তারকা হোটেলে নারী ও মাদক ব্যবসাই তার আয়ের মূল উৎস। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষিত সুন্দরী তরুণীদের সংগ্রহ করতেন পাপিয়া। একপর্যায়ে তাদের ধণাঢ্য ব্যক্তিদের শয্যাসঙ্গী করতেন। এজন্য একাধিক অভিজাত হোটেলের রুম ভাড়া নিতেন নামে-বেনামে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, পাপিয়ার মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকটি ভিডিও রয়েছে। সেসব ভিডিওতে সুন্দরী তরুণীদের সঙ্গে উঠতি শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী ছাড়াও আমলা এবং কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য রয়েছে।