বাঁশখালী পৌরসদরের একটি মাদ্রাসায় ছাত্রীকে কয়েকদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগে মো. জমির উদ্দিন(২৬) নামে ওই মাদ্রাসার এক মৌলভী শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) তাকে আটক করা হয়।
জমির পৌরসভার উত্তর জলদী ভাদালিয়া গ্রামের লেদু মিয়ার ছেলে। জমিরের ঘরে ৪ বছর ও ২ বছর বয়স্ক দুই ছেলেসন্তান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, উত্তর জলদী জঙ্গল জলদী গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ঝাড়কাটা শাহ ওয়ালিউল্লাহ নুরানী মাদ্রাসা ও হেফজখানায় হেফজ বিভাগে লেখাপড়া করতেন ১২ বছর বয়স্ক ধর্ষিতা। ধর্ষক মৌলভী জমির উদ্দিন ৬ মাস ধরে এ মাদ্রাসায় একমাত্র শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করতেন। এ ফাঁকে ধর্ষিতা শিশু মাদ্রাসাছাত্রীকে নানা প্রলোভনে প্রেমের প্রস্তাবে ধর্ষণের চেষ্টা করে। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে ধর্ষিতাকে চা আনতে হবে বলে মাদ্রাসায় রেখে দেয়। মাগরিবের নামাজ শেষে এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষক মাদ্রাসায় ধর্ষণ করে।
বিষয়টি বাবা-মাকে না জানানোর ধর্মীয় নানা বিধি-বিধান রয়েছে বলে ধর্মীয় ফতোয়া শিখায় ধর্ষিতাকে। এরপরে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করে। ধর্মীয় ভয়ে শিশুটি তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়নি।
সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আবারো ধর্ষণের চেষ্টা করলে ছাত্রীটি বিরক্ত বোধ করে বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে জানায়। ধর্ষিতার বাবা-মা বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ওই মৌলভীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ধর্ষিতার বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন।
বাঁশখালী থানার উপপরিদর্শক দীপক কুমার সিংহ জয়নিউজকে বলেন, ‘ধর্ষক জমির গ্রেপ্তারের পর ধর্ষিতাকে তিনবার ধর্ষণ করেছে বলে শিকার করেছে। এ অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে।’