হাটহাজারীতে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডে ১০ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ পরিবারের প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন-যাপন করতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে উপজেলার মেখলের ৮নং ওয়ার্ডের মুন্সি মিয়া মেম্বারের বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়।
খবর পেয়ে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে মুন্সি মিয়া মেম্বারের বাড়ির মৃত মো. রাজা মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের ঘর থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মূহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।
এদিকে, খবর পেয়ে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো. আবু জাফরের নেতৃত্বে দমকল বাহিনীর ২টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ততক্ষণে কাঁচা ১০টি বসতঘরে রক্ষিত নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মূল্যবান কাগজপত্র, আসবাবপত্র এবং ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিসহ মূল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হওয়া ১০ পরিবারের সদস্যরা হলেন-জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কালাম, ফাতেমা আক্তার, নূর বানু, শামশুল আলম, মো. ফরিদ, নূরুল আবছার, বখতিয়ার হোসেন, গিয়াস উদ্দীন ও দিলোয়ারা বেগম।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাতে মেখল ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দীন চৌধুরী ও বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নিয়াজ মোর্শেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে দুটি করে কম্বল ও নগদ ৫ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পিআইও নিয়াজ মোর্শেদ।