রাউজানের পাহাড়তলীর খানপাড়ার জুয়েল খান। নিয়েছেন এমবিএ ডিগ্রি। অন্য সবার মতো পড়ালেখা শেষ করে তিনি চাকরির পেছনে ছুটেননি। চৌমুহনী এলাকার সড়কের পাশে দুই একর জমি বর্গা নিয়ে গত নভেম্বরে তিনি নেমে পড়েন সবজি চাষে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের পরামর্শে বারি স্কোয়াশ-১, বারি স্কোয়াশ-২ সবজির বীজ রোপণ করেন। এর বীজতলা থেকে জমিতে ফলনের দেখা পেতে অপেক্ষা করেন ৪০দিন।
রাসায়নিক বিষমুক্ত জৈব পদ্ধতিতে এ সবজি চাষে খরচ হয় ৮০ হাজার টাকা। চাহিদা থাকায় খরচ পুষিয়ে নিতে তার কোনো বেগ পেতে হয়নি। খরচ পুষিয়ে লাভের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে তিনগুণ। বাজারে গ্রামে তো বটেই শহরের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার রিয়াজউদ্দিন বাজার থেকেও ব্যবসায়ীরা যান তাঁর সবজি কিনতে।
প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা করে প্রায় ২ লাখ টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করেছেন জুয়েল। চলতি মাসে আরো ২ লাখ টাকার সবজি বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, ডাবুয়া, হলদিয়া ও পাহাড়তলীতে ২৫ হেক্টর জমিতে বারি স্কোয়াশ-১, বারি স্কোয়াশ-২ চাষাবাদ করেছেন কৃষকেরা। তবে পাহাড়তলীর শিক্ষিত যুবক জুয়েল খানের মতো বড় পরিসরে কোনো কৃষক এ সবজি চাষ করেননি । আবার এ চাষে জুয়েল ব্যবহার করেছেন আধুনিক জৈব প্রযুক্তি। চাষের প্রতিটি ধাপ মালচিং পেপার, পোকা দমনে ফেরোমন ট্রেপ, ইয়োলোকার্ড জৈবসার ও জৈব কীটনাশক ব্যবহার করে জুয়েল উৎপাদন করেছেন বিষমুক্ত সবজি।
উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সনজিব কুমার সুশীল জয়নিউজকে বলেন, স্কোয়াশ-১, বারি স্কোয়াশ ২ বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য উপয়োগী। জুয়েল খানের মতো শিক্ষিত যুবকরা যদি স্কোয়াশ চাষে এগিয়ে আসেন তাহলে বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি নিজেদের ভাগ্যবদল করতে পারবেন।
পাহাড়তলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন বলেন, জুয়েল প্রথাগত চাকরির পেছনে না ছুটে সবজি চাষে লাভবান হয়েছেন। এটা এ এলাকার জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তাঁর মতো অন্য যুবকেরা যদি এ পেশায় আসেন তাহলে তাদেরকে সার্বিক সহয়াতা দেওয়া হবে।
জয়নিউজ/পিডি