পোশাকের রঙ বদলালে জয়ের ব্যবধানে তা কোনো প্রভাব ফেলেনি। সাদা পোশাকের আভিজাত্য রঙিন পোশাকেও ধরে রেখেছে টাইগাররা।
টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানের বিশাল জয়ের ধারাবাহিকতা উদ্বোধনী ওয়ানডেতেও বজায় রেখেছে বাংলাদেশ। অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম দিনের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জিতেছে ১৬৯ রানের বড় ব্যবধানে।
সকালের সূর্য দেখে নাকি বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে। শুরুতেই টসভাগ্যে জয়ী মাশরাফি। অধিনায়কের প্রথমে ব্যাট নেওয়ার সিদ্ধান্তটা যে যৌক্তিক ছিল তাই প্রমাণ করেন দুই ওপেনার তামিম-লিটন।
২৪ রান করা তামিম যখন আউট হন তখন বাংলাদেশের স্কোর ১২.৫ ওভারে ৬০। এরপর নবাগত শান্তকে নিয়ে ইনিংস টেনে নিতে থাকেন লিটন। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘুরতে থাকে রানের চাকা।
শান্ত ২৯ রান আউট হয়ে গেলে ভাঙে ৮০ রানের জুটি। ভালো শুরুর পরও ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি মুশফিক (১৯)। তবে একপ্রান্ত ঠিকই আগলে রেখেছিলেন লিটন। করে ফেলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি।
বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আসছে রান। দুরন্ত লিটনের সঙ্গী তখন আক্রমণাত্মক মাহমুদুল্লাহ।
ইনিংসটা আরো লম্বা করার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন লিটন। কিন্তু বিশাল এক ছক্কা হাকানোর পর ইনজুরিতে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন মাত্র ১০৫ বলে ১২৬ রান করা লিটন। অবশ্য দলের রান তখন পেরিয়ে গেছে দুইশ’র গণ্ডি।
এরপর দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ ও মিথুন। ৪৫.৫ ওভারে যখন বাংলাদেশর রান ২৭৪ তখন প্যাভিলিয়নে ফিরেন ২৮ বলে ৩২ রান করা মাহমুদুল্লাহ। মিথুন ফিরেন ৪১ বলে ঠিক ৫০ রান করে।
শেষদিকে অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন ১৫ বলে ২৮ রান করলে বাংলাদেশ গড়ে ৩২১ রানের বিশাল স্কোর।
বিশাল সংগ্রহের জবাব দিতে নেমে কখনোই ছন্দে ছিল না জিম্বাবুয়ে। টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং খোলস ছেড়ে বের হতে দেয়নি সফরকারীদের।
স্কোরবোর্ডের খাতা খুলতেই এক ওপেনার বোল্ড সাইফুদ্দিনের দুরন্ত গতিতে। দলের রান ২৩ হতেই জোড়া আঘাত। একটি উইকেট নেন সাইফুদ্দিন, অপরটি অধিনায়ক মাশরাফি।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। দলের ৪৪, ৭৯, ৮৪ রানে হারায় চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেট।
ব্যাটিংটা অসাধারণ, বোলিংটাও, কিন্তু ফিল্ডিং? টাইগারদের ফিল্ডিংটাও যে বিশ্বমানের তা প্রমাণ করার সুযোগ হলো জিম্বাবুয়ের স্কোর যখন ৬ উইকেটে ১০৬। ১৪ বলে ১৭ রান করা মুতুম্বাবি রানআউট শান্তর দুরন্ত ফিল্ডিং আর মুশফিকে সুন্দর কিপিংয়ে।
শেষদিকে পরাজয়ের ব্যবধানটা কমানোর চেষ্টা করেছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু তাতেও ব্যর্থ তারা।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নামা মাধেভেরে।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান সাইফুদ্দিন। ২টি করে উইকেট নেন মিরাজ ও মাশরাফি। একটি করে উইকেট লাভ করেন তাইজুল ও মোস্তাফিজ।
জয়নিউজ