সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৩২২ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। এমন সংগ্রহের পর হেসেখেলে জয়ই দেখে ফেলেছিলেন টাইগারভক্তরা। কিন্তু শেষ দিকে এসে জিম্বাবুয়ের টেল এন্ডাররা তাদের মনে ভয় ধরিয়ে দেয়। আর প্রথম ওয়ানডেতে উড়ে যাওয়া জিম্বাবুয়ে এবার হাল না ছেড়ে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত লড়ে গেছে।
ইনিংসের শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের জিততে প্রয়োজন ছিল ২০ রান। কিন্তু আল আমিনের করা ওই ওভারে সফরকারীরা নিয়েছে ১৫ রান। ফলে ৪ রানের জয় পায় টাইগাররা। সবমিলিয়ে অনেকটা সহজ ম্যাচ কঠিনভাবে জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয় মাশরাফি বাহিনী।
এর আগে দুপুরে টস জিতে গত ম্যাচের মতো আজও ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক। ব্যাট করতে নেমে শুরুর ১০ ওভারে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে শতক হাঁকানো লিটন দাস আজ রানআউট হয়ে ফেরেন ৯ রানে। আর তামিমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৬ রানে রানআউট হয়ে ফেরেন শান্ত।
বাকি পথ তামিম পাড়ি দেন মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদের নিয়ে। দীর্ঘসময় ধরে রান খরায় ভোগা তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১২তম শতক। এই শতকে পূর্ণ হয় ওয়ানডে ক্রিকেটে তার ৭ হাজার রান (২০৬ ম্যাচ)।
তামিমের সঙ্গে মুশফিক তুলে নেন অর্ধশতক। ৫৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন ক্যাচ আউট হয়ে। মাহমুদউল্লাহ করেন ৪১।
শেষদিকে মোহাম্মদ মিঠুনের ১৮ বলে অপরাজিত ৩২ রানে ভর করে ৮ উইকেটে ৩২২ রান করে বাংলাদেশ।
সফরকারীদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন কার্ল মুম্বা ও ডোনাল্ড তিরিপানো, ১টি করে উইকেট নেন কার্লটন টিশুমা আর ওয়েসলে মাধবেরে।
স্বাগতিকদের দেওয়া পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে শফিউলের শিকার হোন রেগিস চাকাভা। ব্রেন্ডন টেইলরও খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। ১১ রান করে বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজের থ্রোতে রানআউট হয়ে।
প্রথম ম্যাচে খেলতে না পারা সফরকারী অধিনায়ক শন উইলিয়ামসও হন ব্যর্থ। মিরাজের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন ১৪ রান করে।
জিম্বাবুয়ের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাঝেও ওপেনার তিনাশে কামুনহুকাওয়ামে খেলেন ৭০ বলে ৫১ রানের ইনিংস। তাকে বোল্ড করে ফেরান তাইজুল ইসলাম। অন্যদিকে মাত্রই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলে আসা ওয়েসলে মাধবেরে শাসন করেন টাইগার বোলারদের। ৪৯ বলে তিন চার ও দুই ছয়ে ৫১ রান করে তাইজুলের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর মিডল অর্ডারে সিকান্দার রাজার ঝড়ো ইনিংস জয়ের স্বপ্ন দেখালেও মাশরাফির বলে ৬৬ রানের মাথায় ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে।
শেষদিকে টিনোটেন্ডা মুতমবদজি ও ডোনাল্ড তিরিপানোর জুটি চেপে বসে টাইগার বোলারদের উপর। শেষ ওভার পর্যন্ত জয়ের আশা জাগিয়েছে এই জুটি। কিন্তু পারেনি তারা। ফলে চার রানের জয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের পক্ষে ৩ উইকেট নেন তাইজুল। ১টি করে উইকেট নেন মাশরাফি, শফিউল, মিরাজ ও আল-আমিন।