থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ বোর্ডের প্রতিনিধি অপিপং খুনকর্নবডিন্টার বলেছেন, বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের বিনিয়োগের টার্গেট দেশ। থাই সরকার তার দেশের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করছে।
বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা জানান। মতবিনিময়ে থাইল্যান্ডের ১৫ সদস্যের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতা মানু সিথিপ্রসাসানা বলেন, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে অধিকতর অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়ন এবং পারস্পরিক সুযোগ-সুবিধা অন্বেষণ করতে মতবিনিময় করা জরুরি। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন চট্টগ্রাম সফরের মূল উদ্দেশ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সাথে থাইল্যান্ডের সরাসরি নৌপথের সংযোগ স্থাপনে থাই সরকার কাজ করছে। এর ফলে উভয় দেশ দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক করিডোরের সাথে সংযুক্ত হবে। জাহাজে পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারিত হবে।
এ সময় চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, গত বছর থাইল্যান্ড-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশী পণ্যের নিয়মিত প্রদর্শনের মাধ্যমে পরিচিতি ও বাজার সৃষ্টি করা জরুরি। এক্ষেত্রে ওষুধ, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং নিত্যনতুন মানসম্পন্ন পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি করতে চেম্বার সভাপতি থাইল্যান্ডের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের র্যানং পোর্টের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হলে আমদানি-রপ্তানিতে সময় ও ব্যয় অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব হবে।
প্রতিনিধিদল মতবিনিময় শেষে বিটুবি সেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং রপ্তানি পণ্যের এক্সিবিশন হল পরিদর্শন করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান, চেম্বারের পরিচালক অহীদ সিরাজ চৌধুরী, প্রাক্তন পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ প্রমুখ।
জয়নিউজ/আল্পনা/হোসেন