বাঙালি ৫২ শব্দটি যখন লিখে বা উচ্চারণ করে সবার হৃদয়ে তখন ভেসে উঠে ইতিহাসের এক অমর কাব্যকথা। ভাষা আন্দোলের উত্তাল রাজপথ। আর ৫২’র একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালিকে শিখিয়েছে মাথা নত না-করার অমৃতমন্ত্র। আর সেই চেতনা থেকেই বোধন আবৃত্তি স্কুল নিজেদের ৫২ ব্যাচের নাম দিয়েছে অমর ৫২ আবর্তন।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামে আয়োজন করা হয় বোধন আবৃত্তি স্কুলের অমর ৫২ আবর্তনের সমাবর্তন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামরে সভাপতি সোহেল আনোয়ারের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বোধনের সাধারণ সম্পাদক এসএম আব্দুল আজিজ।
এরপর আমন্ত্রিত অতিথি বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী শীলা মোমেন ও মুক্তিযোদ্ধা সমর চৌধুরী অমর ৫২ আবর্তনে উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে কোর্স সমাপনী সনদপত্র বিতরণ করেন।
পরে কথামালা পর্বে অতিথিরা বলেন, একুশের চেতনায় ভাষার শুদ্ধতার বিকাশে আবৃত্তিশিল্পের অনন্য ভূমিকা রয়েছে। এ চর্চায় দেশের শিল্পসাহিত্য ও সংস্কৃতি আরো সমৃদ্ধশালী হবে।
কথামালা শেষে একক পরিবেশনায় অংশ নেন বড়দের বিভাগের প্রশিক্ষণার্থী হাসিবুল ইসলাম শাকিল, ঐশিকা দাশ অর্থি, মৌসুমী দেব, নন্দী, পিংকু সেন, অদিতি দাশ, ঈশা দে, দীপিকা মজুমদার, ফাবিয়া জাহান উর্বি, বৃষ্টি বৈদ্য, অঝড়া চৌধুরী ও ঐশী দাশগুপ্ত।
তাদের কবিতায় উঠে আসে বাহান্ন উত্তালের দিনগুলো। এরপর পরিবেশিত হয় আবৃত্তিশিল্পী সঞ্জয় পালের গ্রন্থণা ও নির্দেশনায় এবং আবৃত্তিশিল্পী পলি ঘোষের মহড়া পরিচালনায় বৃন্দ প্রযোজনা ‘আমি কি ভুলিতে পারি’।
এতে উঠে আসে বাহান্নর উত্তাল সময়ের রাজপথে শহীদের অমলিন চেতনায় আপোষহীন হয়ে উঠার দিনগুলো। পরে ছোটদের একক আবৃত্তিতে মাতৃভাষার শুদ্ধরূপ অনন্য উচ্চারণে আরো শাণিত হতে থাকে।
এসময় অংশ নেন শ্রেয়া চৌধুরী, রাফিয়াতুন সানজানা চৌধুরী উন্মে ইকরা, নিলয় রক্ষিত, সুষ্মিতা বড়ুয়া, জয়িতা বড়ুয়া, হুমাইরা শোয়াত মুনিয়া, সুপ্তি দাশ, শ্রেষ্ঠা সেনগুপ্তা, সুনিপুণ সেনগুপ্তা ও সৃজিতা পাল।
পুরো আয়োজনের সঞ্চালনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী অনন্যা পাল ও সাজ্জাদ হোসেন।